ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ রাখার সিদ্ধান্তের পর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো জানিয়েছে, নাম পরিবর্তনের ফলে অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি ধরে রাখতে নতুন করে আবেদন ও অনুমোদনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বিবিসি
২০১৬ সালে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা অন পহেলা বৈশাখ’ শিরোনামে এই আয়োজনটি ইউনেস্কোর ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’ বা অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু ২০২৫ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিলে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে ইউনেস্কোতে যোগাযোগ করা হলে সংস্থাটি জানায়, অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে জীবন্ত ঐতিহ্য ও এর গতিশীলতা বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের পরিবর্তনের জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটির অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের পরিবর্তন বৈধ নয় বলে তারা স্পষ্ট করেছে। বর্তমানে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত এই কমিটির কাছেই নাম পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে হবে।
ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এ ধরনের যেকোনো পরিবর্তন করার আগে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায় ও অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ এবং সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন অপরিহার্য। যেন ঐতিহ্য বা সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক কার্যকারিতায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
তবে, নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ইউনেস্কোর নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না, সে বিষয়ে সংস্থাটি কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামটি যদিও জনপ্রিয়ভাবে পরিচিত, তবে ১৯৮৯ সালে এর সূচনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এর নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’।
পূর্বকোণ/এএইচ