ওড়িশার গোপালপুর উপকূলে পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হল ‘ভার্গবাস্ত্র’। ছোট মাপের ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আড়াই কিলোমিটার দূর থেকে ড্রোনের গতিবিধি চিহ্নিত করে আঘাত হানতে পারে। মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতীয় সেনার আকাশ প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্তাদের উপস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্রগুলির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়।
ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে এবার তৈরি হল ‘ভার্গবাস্ত্র’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র মঙ্গলবার সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তান থেকে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। তার বেশির ভাগই প্রতিহত করেছে ভারত। এই অবস্থায় মঙ্গলবার ওড়িশার গোপালপুর উপকূলে দেশীয় ‘মাইক্রো মিসাইল’গুলি পরীক্ষা করা হয় এবং সেগুলি প্রতিটি মাপকাঠিতেই সফল হয়েছে বলে খবর।
ড্রোন বিধ্বংসী ছোট মাপের এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তৈরি করেছে ‘সোলার ডিফেন্স অ্যান্ড এরোস্পেস লিমিটেড’ (এসডিএল)। নির্মাতা সংস্থা ‘সোলার গ্রুপ’ জানিয়েছে, ‘মাইক্রো মিসাইলের’ উপর ভিত্তি করে এই ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থাটি তৈরি করা হয়েছে। আগামী দিনে ড্রোন হানার মোকাবিলা করতে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশে সাহায্য করবে বলে মনে করছে তারা। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূর পর্যন্ত সন্দেহজনক ড্রোনের গতিবিধি শনাক্ত করার ক্ষমতা রয়েছে ‘ভার্গবাস্ত্রের’। যে কোনও ছোট মাপের ড্রোন শনাক্ত করে সেগুলি ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এগুলির।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল, ওই সময়ে পাক হানা প্রতিহত করতে দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ (সুদর্শন চক্র), এল ৭০, শিল্কা, জ়ু ২৩ এবং আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। পাকিস্তানের ছোড়া ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে একযোগে আকাশেই ধ্বংস করে দেশের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করেছে এই তিন ব্যবস্থা। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের আকাশসীমাকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে চাইছে কেন্দ্র। কোনও ভাবেই যাতে দেশের আকাশসীমার নিরাপত্তার বেড়াজাল ভাঙা না যায়, সে দিকে নজর দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, এর জন্য তিন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র দেশের সামরিক বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ