চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪

সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির ৬ ‘সেলস সেন্টার’ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:৪১ অপরাহ্ণ

সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে নগরীর ছয়টি স্থানে সেলস সেন্টার চালু করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের প্রবেশ মুখে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম।

নগরীর ছয়টি ভূমি সার্কেলের অধীন রেয়াজউদ্দিন বাজার, বক্সিরহাট, পাহাড়তলী কাঁচা বাজার, পতেঙ্গা স্টিলমিল বাজার, বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার ও ২নম্বর গেইট কর্ণফুলী কাঁচা বাজার এলাকায় এই ছয়টি সেলস সেন্টার চালু করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি পয়েন্টে সুলভমূল্যের বাজার তৈরি করেছি। বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

“জেলার প্রত্যেক উপজেলায়ও সুলভমূল্যের বাজার খোলা হয়েছে। দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে আনতে ১০ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের পর থেকে আমরা পুরোদমে বাজার মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত আমরা ৮৯টি অভিযানে ৩৫০ জনকে মোট ২১ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছি।”

তিনি বলেন, “দ্রব্যমূল্য সুবিধা বঞ্চিত ও খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। এজন্য সৎ ব্যবসায়ীরাসহ সবাই আমাদের পাশে আছে। আমাদের ধারাবাহিক বাজার মনিটরিং ও অভিযানের কারণে নিত্য পণ্যের মূল্য কিছুটা হলেও কমে এসেছে।”

বাজার দর বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বিভিন্নস্থানে ফসলের ফলন কিছুটা কম ছিল। তাছাড়া প্রতিবছরই এ সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।

“অসাধু ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে রাখে। সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে আমরা সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারলে অতিশীঘ্রই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের ভিতর থাকবে।”

যতদিন পর্যন্ত নিত্যপণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে না আসবে ততদিন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থা ও ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, “ভোক্তাদের জন্য আরও বিভিন্ন ধরনের সবজি ও নিত্যপণ্য নিয়ে নিয়ে জেলা প্রশাসন সেলস সেন্টারের পরিধি বাড়ানো হবে।”

প্রথম দিন সেল সেন্টারে পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আলু, ডিম, পটল, লাউ ও কাঁচা পেঁপে বিক্রি করা হয়।

জেলা প্রশাসনের এই ছয়টি পয়েন্টের পাশাপাশি ছাত্র সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে নিত্য পণ্য নিয়ে নগরীর তিনটি পয়েন্টে সেলস সেন্টার খোলা হয়েছে। এছাড়া টিসিবি ২০টি পয়েন্টে সুলভমূল্যে পণ্য সামগ্রী দিচ্ছে।

অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. রাজীব হোসেন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. আলাউদ্দিন, স্টাফ অফিসার টু ডিসি শাকিব শাহরিয়ার, রিয়াজউদ্দিন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, ছাত্র সমন্বয়কবৃন্দ এবং ক্যাবের নেতৃবৃন্দ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন সেলস সেন্টারগুলো খোলা থাকবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট