কর্ণফুলী টানেলের গাড়ি চলাচলের জন্য নির্মাণাধীন কর্ণফুলী শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারা কালাবিবির দিঘি পর্যন্ত ৮ দশমিক ১ কিলোমিটার ৬ লেন সড়কের কাজ শেষ হয়নি এখনোও। ফলে ৪০৭ কোটি টাকার এই সড়কের সুফল পাচ্ছে না জনগণ।
জানা যায়, ২০২০ সালে কর্ণফুলী টানেল দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজারের দূরত্ব কমাতে শিকলবাহা ওয়াইজংশন থেকে আনোয়ারা কালাবিবির দিঘি পর্যন্ত ৮ দশমিক ১ কিলোমিটার ছয় লেনের একটি সংযোগ সড়কের অনুমোদন হয়। কাজের ব্যয় ধরা হয় ৪৭০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)। গত ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০২৫ সালের মে মাসে এসেও কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
সরেজমিনে শিকলবাহা ওয়াইজংশন থেকে আনোয়ারা কালাবিবির দিঘি পর্যন্ত সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, কর্ণফুলীর ডাকপাড়া, বড়উঠান, ফাজি লখাঁ’র হাট, আনোয়ারার কালাবিবির দিঘি, চৌমুহনীসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এখনো উচ্ছেদ করা হয়নি স্থানীয়দের দালান, মার্কেট। বিভিন্ন জায়গায় মাটির স্তূপ করে রাখা হলেও করা হয়নি রাস্তা নির্মাণের কাজ।
স্থানীয়রা জানান, এই সড়কটি আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার যাত্রীদের পাশাপাশি টানেল ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে। সড়কের পাশে থাকা কোরিয়ান ইপিজেড, কাফকো, সিইউএফএলসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানার অফিস শুরু ও ছুটি শেষে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই কাজ শেষ হলে এখানকার মানুষ এই প্রকল্পের সুফল পাবে।
কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)’র প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কাজ শুরুর পর প্রকল্পের বাইরে নতুন করে পাঁচটি কালভার্ট নির্মাণসহ অতিরিক্ত বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যার বিল এখনো পাইনি। তাই কাজ বন্ধ রয়েছে। যদি তারা বিল পায় তাহলে কাজ শুরু করবে বলেও জানান তিনি।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কাজ শেষ না হওয়ার বিষয়ে সড়ক ও জনপদ’র নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ঠিকাদার কিছু বাড়তি কাজ করেছে যার বিল এখনো পায়নি, তাই তারা কাজ বন্ধ রেখেছে। বিল পাশ হলে তারা কাজ শুরু করবে।
পূর্বকোণ/ইবনুর