ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের সময় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অনেক স্থানে বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতি ১৬/১৭ ঘণ্টা অতিক্রম করেছে। ঝড় থেমে গেলে সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছেন বিদ্যুৎ কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) পরিচালক (কারিগরি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ কোটি ৫৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব কমে যাওয়ার পর দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিতে আমাদের কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার প্রকৃত চিত্র এখনো জানা যায়নি।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বলছেন, উপকূলীয় কয়েকটি জেলার সাগর তীরবর্তী উপজেলাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ারে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের লাইন চালু থাকলে জানমালের ক্ষতি হতে পারে। আবার বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে, যা মেরামত করতে অন্তত ৭ দিন সময় প্রয়োজন। এসব দিক বিবেচনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর