চট্টগ্রাম শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

সর্বশেষ:

শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে ছাত্রশিবিরের মানবপ্রাচীর কর্মসূচি
ছাত্রশিবিরের মানবপ্রাচীর কর্মসূচি

শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে ছাত্রশিবিরের মানবপ্রাচীর কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫ মে, ২০২৫ | ৫:০২ অপরাহ্ণ

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সংঘটিত বর্বরোচিত গণহত্যার বিচার দাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের উত্তর গেটে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এই মানবপ্রাচীর কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখা সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি ও চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা সভাপতি তানজীর হোসাইন জুয়েল।

ছাত্রশিবির মহানগর দক্ষিণ সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ১৩ সালের ৫ মে সাধারণ ইসলাম প্রিয় জনতা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় রাসুল (সা) ও ইসলামের অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের বিচারের দাবিতে। পতিত স্বৈরাচার হাসিনার হিংস্ররূপ সেদিন দেশের জনগণ সচক্ষে দেখেছিল। তারা দেখেছিল কিভাবে শান্তিপূর্ণ একটি কর্মসূচিকে রাতের আধারে ক্রাকডাউনের মাধ্যমে পণ্ড করে দেয়া হয়। অনেক প্রিন্টিং মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার উপরও সেদিন ফ্যাসিস্ট হাসিনার কালো থাবা পড়েছিল। ইতিহাসের জঘণ্য এই গণহত্যা সরাসরি সম্প্রচার করায় সেদিনই অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। আমরা চাই ২৪ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি দৃশ্যমান করার দাবি জানাই। দ্রুতই গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ জড়িত সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আমরা আশা রাখি। ২৪ জুলাই বিপ্লবে ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে সাহসী ভূমিকা রেখেছিল, শাপলা গণহত্যার বিচার আদায়ের দাবিতেও একইভাবে ছাত্রশিবির ভূমিকা রেখে যাবে ইনশাআল্লাহ।

মহানগর উত্তর সভাপতি তানজির হোসাইন জুয়েল বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সেদিন এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা নিজেদের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য নয়, বরং নবী (সা.) এর উপর নাস্তিক ব্লগাররা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিল তার বিচারের দাবিতে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা জনমানুষের সে দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আধারে ক্র‍াকডাউনের নামে ইতিহাসের বর্বর গণহত্যা সংঘটিত করে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রীয় চাপে সেদিন অগণিত শহীদের পরিবারকে তাদের স্বজনের খুঁজে থানায় গিয়ে জিডি পর্যন্ত চাইতে দেয়া হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। এবং শাপলা গণহত্যাসহ অন্যান্য যত গণহত্যা এ দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগ সংঘটিত করেছিল তার দ্রুত বিচার বাস্তবায়ন করতে হবে।

উক্ত কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট