চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ১২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি ছোরা উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কৌশলে পালিয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য।
গ্রেপ্তাররা হল- জয় দাশ (১৯), মো. জাহিদ হাসান (২০), আফতাহি রহমান ফারহান (২১), নাদিমুল হক (২০), তামিম মাহমুদ, মাইজ উদ্দীন সিদ্দিকি আকিল (১৯), মো. আরমান (১৯), ইফসান (১৯), ফজলে রাব্বি মৃদুল (১৯), ইমরান হোসেন ইমন (১৯), মো. নয়ন (২০) ও সৈকত দাস (২০)।
পলাতক আসামিরা হলেন- মঈন প্রকাশ ব্ল্যাক মঈন (২১), রাইসু (২০), জসিম (২০), সাগর (১৯), নাজিম (১৯), জুনায়েদ (২০), জাহাঙ্গীর (১৯), মোবারক (২০), সাগর (১৮), জুনায়েদ হোসেন (১৮), মো. সাগর (২০), নাইম (১৮), মো. সুমন (১৯), মো. ওয়াসিম (১৯), মো. হাসান (১৮), মো. সজীব (১৯), রাসেল (১৮), আলিফ (১৯), ধ্রুব (১৮) ও প্রান্ত (১৯) সহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জন।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ২ নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যান সংলগ্ন ফিনলে স্কয়ারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান। তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তবে এদের মধ্যে কয়েকজন কিশোর গ্যাং লিডার। এদের মধ্যে কেবি, নাইন এস, ত্রিপল নাইন, এমবিএস, এক্স মার্ক, ব্ল্যাকহোল নামে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরাও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ৬ মে রাত ৮টায় বিপ্লব উদ্যান এলাকায় ডট গ্যাং, ক্রিমিনাল এক্টের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এনএস কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান পলাতক আসামি মঈন প্রকাশ ব্ল্যাক মঈন ও রাইসু একজনকে মারধর করায় তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে কেবি, নাইন এস, ত্রিপল নাইন, এমবিএস, এক্স মার্ক, ব্ল্যাকহোলের সদস্যরা শক্তি প্রদর্শন করতে এলাকায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। তাদের মহড়ায় এলাকায় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে এ সময় কৌশলে পালিয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/পারভেজ