ফুটবল খেলা বলতেই পাগল ছিল নাহিয়ান। নগরের বায়েজিদসহ আশেপাশের এলাকার যে কোনো ফুটবল খেলায় অবধারিত ছিল সে। ফুটবল প্রেমী নাহিয়ান কিছুটা উদাসীন ছিল পড়াশোনায়। দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় মাধ্যমিকের পাঠ চুকানোর কথা ছিল এবার। তবে মাধ্যমিকের আগেই জীবনের পাঠ চুকে গেছে নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীর। আসর জমিয়ে রাখা নাহিয়ান আর কখনোই ফিরবে না বন্ধুদের আড্ডায়।
ভবনের ছাদ থেকে পড়ে টানা ছয়দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বায়েজিদ এলাকায়। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছবি শেয়ার করে শোক জানিয়েছে নাহিয়ানের বন্ধুরা।
গেল ১ মে রাতে অসাবধানতাবশত তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আহত হন শেখ নাহিয়ান বিন হারুন। এরপর থেকে নগরের এভারকেয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত মঙ্গলবার পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। গতকাল সকালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাহিয়ান। ১৮ বছর বয়সী নাহিয়ান বায়েজিদের চক্রেসু কানন আবাসিক এলাকার জান্নাতুল ভিলার মো. হারুনের ছেলে।
নিহত নাহিয়ানের প্রতিবেশী শাহেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, দারুণ ফুটবল খেলতো নাহিয়ান। ২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের কাতারেই ছিল।
নাহিয়ানের বন্ধু পরম বড়ুয়া বলেন, আমার বন্ধুর জন্য দোয়া করবেন। গেল শুক্রবারও কলেজ থেকে ফেরার পথে পাবলিক মোড়ে আড্ডা দিয়েছি আমরা।
সাফাওয়াত শামিন নামে নাসিরাবাদ স্কুলের সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, দুর্দান্ত ফুটবল খেলতো ছেলেটা। যখন তার ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার খবর পেলাম, বিশ্বাস করতে পারিনি।
এদিকে নিহত নাহিয়ানের মরদেহ হস্তান্তরে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
বায়েজিদ থানার উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/ইবনুর