চট্টগ্রাম রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

মানবাধিকার দিবসে ইপসা ও দৃষ্টির বিতর্ক আয়োজন

শিশুশ্রম বন্ধে প্রথমে দারিদ্র্য নিরসন করতে হবে

অনলাইন ডেস্ক

১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ১১:১৮ অপরাহ্ণ

করোনা পরবর্তী বিশ্বে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্যতা বৃদ্ধির ফলে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলছে। শিশুশ্রমের মূলে রয়েছে দারিদ্র্যতা। শিশুশ্রম বন্ধ করতে হলে প্রথমে দারিদ্র্য নিরসন করতে হবে।
তাই শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে সচেতনতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে জাতিসংঘের ছায়া সংসদে ইপসা ও দৃষ্টির উদ্যোগে বিশেষ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর অভিজাত একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে ছায়া জাতিসংঘ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রামের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
সাধারণ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ও প্রাক্তন বিতার্কিক বিদ্যুৎ বড়ুয়া । এই অধিবেশনে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক ও প্রাক্তন বিতার্কিক কাজী আরাফাত, উপ- মহাসচিব ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া ইসলাম। ছায়া অধিবেশনে পর্যবেক্ষক ছিলেন সাংবাদিক রেজাউল করিম, বিতার্কিক আফসানা তমা, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুদ্দিন মুন্না ও প্রাক্তন বিতার্কিক রায়হান শাকিল। সাধারণ অধিবেশনে প্রাণবন্ত বিতর্ক শেষে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্ড কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ইপসার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল।
দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, যে জায়গায় বড়দের কাজ করা কঠিন- সে জায়গায় শিশুরা কাজ করছে। এটা আরো ঝুঁকিপূর্ণ। মনে হয় বাংলাদেশে জীবনের দাম একদম সস্তা। আমরা শিশুশ্রম মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশর স্বপ্ন দেখি। শিশুশ্রম মুক্ত দেশ গড়তে পারলে আমরা সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত হব। এটি গড়তে হলে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে শিশুশ্রম কমে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইপসার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী শাহিন বলেন, প্রত্যেক শিশুর মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর স্বপ্ন। শিক্ষিত জাতি গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শিশুশ্রম। বর্তমানে দারিদ্র্যতার কারণে শিশুশ্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রামের গত ৯ বছরে ৫% শিশুশ্রম বেড়ে গেছে। দেশে এখন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত রয়েছে ১০ লাখ ৬৮ হাজার শিশু শ্রমিক। যার মধ্যে ৬ লাখ ৫২ হাজার শিশু কাজ করছেন বিভিন্ন শিল্প কারখানায়।
প্রথম বিশ্বের দেশগুলো পুঁজিবাদের নামে শ্রমের নামে শোষণ করছে। শ্রমের বৈষম্য এদেশেও আছে। আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে এ শোষণ দূর করে শিশুশ্রম মুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করেন।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট