ইরানের রাজধানী তেহরানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসময় বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালানো হয়। শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় ভোররাতে এ হামলা চালায় ইসরায়েল।
এদিকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “যদিও রাজ্য এই জঘন্য হামলার নিন্দা করে, এটা নিশ্চিত করে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং নিরাপত্তা পরিষদের অবিলম্বে এই আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য একটি বড় দায়িত্ব রয়েছে।”
ইসরায়েলের হামলায় দেশটির অভিজাত বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি, জ্যেষ্ঠ দুই পরমাণুবিজ্ঞানী ফেরেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচিসহ আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন।
এ হামলার পর ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকি ইসরায়েলের জন্য করুণ ও যন্ত্রণাময় পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও হামলার পরে জানান, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েল অপারেশন রাইজিং লায়ন শুরু করেছে, যা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য ইরানের হুমকিকে প্রতিহত করার জন্য একটি অভিযান। আমাদের মিশন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত যতদিন প্রয়োজন এ অভিযান চলবে।
নেতানিয়াহু বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা।
পূর্বকোণ/ইবনুর