চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

সর্বশেষ:

এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনা

‘পাখির আঘাত’-এর কারণে বিধ্বস্ত হতে পারে উড়োজাহাজটি

অনলাইন ডেস্ক

১২ জুন, ২০২৫ | ১০:৩০ অপরাহ্ণ

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটের দুর্ঘটনার পেছনে ‘ ‘পাখির আঘাত’ একটি প্রধান কারণ বলে মনে করছেন উড়োজাহাজ চলাচল বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, একাধিক পাখির ধাক্কায় উড্ডয়নের সময় উড়োজাহাজটি প্রয়োজনীয় গতি ও শক্তি অর্জন করতে পারেনি, যার ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে। খবর এনডিটিভি

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১ যাত্রা শুরুর কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয়। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের ওই উড়োজাহাজ মোট ২৪২ জন এরাহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ২ জন পাইলট। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং ৭ জন পর্তুগিজ ছিলেন।

এয়ার ইন্ডিয়ার সাবেক সিনিয়র পাইলট ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনগর এনডিটিভিকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি একাধিক বার্ড হিটের ঘটনা, যার ফলে দুই ইঞ্জিনই শক্তি হারিয়েছে। টেকঅফটি ছিল স্বাভাবিক, কিন্তু মনে হচ্ছে গিয়ার তোলার আগেই উড়োজাহাজটি হঠাৎ করে নিচে নামতে শুরু করে। এমনটা সাধারণত ইঞ্জিনের শক্তি হারালে বা উড়োজাহাজের লিফট উৎপাদন বন্ধ হলে ঘটে থাকে। তদন্তে বিস্তারিত কারণ জানা যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, উড্ডয়নের সময় কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না। উড়োজাহাজটি একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে নিচে নামে এবং পাইলট ‘মে ডে’ কল দেন, যা বোঝায় যে তারা চরম বিপদে পড়েছিলেন।’

উড়োজাহাজ চলাচল বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় লাজারও এই ব্যাখ্যার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘একাধিক বার্ড হিটের ফলে ইঞ্জিন যদি পর্যাপ্ত শক্তি না পায়, তাহলে উড়োজাহাজ ৬-৭ মিনিটের বেশি টিকতে পারে না এবং দ্রুত ভেঙে পড়তে পারে। উড়োজাহাজটি তুলনামূলকভাবে নতুন—মাত্র ১১ বছর পুরোনো—তাই যান্ত্রিক ত্রুটির সম্ভাবনা খুবই কম। এটি বিমানবন্দরের পাশের একটি আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে। সেখানে পাখি থাকার সম্ভাবনা যথেষ্ট বেশি।’

ফ্লাইট ১৭১-এর ধ্বংসাবশেষ এবং ব্ল্যাকবক্স ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা এবং এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বার্ড হিট, ইঞ্জিনের ব্যর্থতা এবং দ্রুত উচ্চতা হারানোর ঘটনা—এই তিনটি বিষয়কে প্রাথমিকভাবে তদন্তের কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিমানবন্দর এলাকার আশপাশে বার্ড হিটের ঘটনা বেড়ে গেছে বলে বিভিন্ন উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন