বাংলাদেশ সরকারের ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পোস্টার প্রদর্শনী করেছে চট্টগ্রামের বেসরকারি পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ‘সাম্প্রতিক বাংলাদেশ বিষয়াবলী’ কোর্সের অংশ হিসেবে পোস্টার প্রদর্শনী করে ৩০তম ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীরা। পোস্টারে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের বিভিন্ন দিক ও সরকারের বিভিন্ন স্লোগানকে তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। এসময় স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত, স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধাগুলো পোস্টারের মাধ্যমে তুলে ধরা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্যে পৌঁছানোর ধাপগুলো সম্পর্কে বক্তব্য রাখে সকল শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা সবাই রঙিন পোস্টার পেপার ব্যবহার করে সরকারের আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সে বিষয়ে রঙ, পেন্সিল, সাইন পেন, মার্কার, পেপার কাটিংয়ের মাধ্যমে তাদের পোস্টারে স্মার্ট বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তোলে। এ প্রসঙ্গে কোর্সের শিক্ষক ও সিনিয়র লেকচারার প্রশান্ত কুমার শীল বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে আগাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশ ধীরে ধীরে স্মার্টে রূপ নিচ্ছে। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে দেশের তরুণ প্রজন্ম।
আমাদের শিক্ষার্থীরা পোস্টার প্রদর্শনীর মাধ্যমে জানতে পারছে স্মার্ট বাংলাদেশ কি এবং এর গঠন কিভাবে হবে সেই সাথে শিক্ষার্থীরা স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরতে পারছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদেরও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এসব পোস্টার প্রদর্শনী কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
মুমতাহিনা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এ ধরনের পোস্টার প্রদর্শনী তরুণ প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের ক্ষেত্রে আরো গতিশীল করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের এই সুদূর যাত্রায় বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছে এবং আরও উন্নীত হবে এই প্রত্যাশা। আমাদের ও স্মার্ট হয়ে উঠতে হবে।