অগণিত পাঠকের ভালবাসায় সিক্ত দৈনিক পূর্বকোণ আজ ঊনচল্লিশে পদার্পণ করল। এই আনন্দঘন মুহূর্তে আমরা শুভেচ্ছা জানাই পূর্বকোণের অগণিত পাঠক, লেখক, বিজ্ঞাপনদাতা, এজেন্ট, হকার ও শুভানুধ্যায়ীকে। কামনা করি সবার সুস্থ জীবন। আধুনিকতা, মুক্তচিন্তা ও সুস্থ পরিবর্তনের বার্তা নিয়েই ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক পূর্বকোণের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। এ পত্রিকার রূপকার ও স্বপ্নদ্রষ্টা মরহুম মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী। সমাজ উন্নয়নের অঙ্গীকারে দৈনিক পূর্বকোণকে করে তুলেছিলেন সেদিনকার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতি-অর্থনীতির জগতের, সৃষ্টিশীল তরুণের বিচরণক্ষেত্র ও কর্মজগতের নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম। চট্টগ্রামের ন্যায্য উন্নয়ন-অধিকারের কথা বলতে; শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে কথা বলতে; অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চারকণ্ঠ হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সুদৃঢ় অবস্থান নিতে পূর্বকোণ কখনো কার্পণ্য করেনি, পিছপা হয়নি। এ অঞ্চলের গুণীজনদের সম্মানিত করতেও সাধ্যমত চেষ্টা করেছে পূর্বকোণ।
২০১২ খ্রিস্টাব্দের শেষের দিকে চট্টগ্রামের ১৬ জন সৃজনশীল ব্যক্তিত্বকে খুঁজে নিয়ে স্পিকারের প্রধান আতিথ্যে একটি দৃষ্টান্তমূলক মহতী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা প্রদান করা হয়, যারা হলেন চট্টগ্রামের অহঙ্কার। শুরু থেকেই তুলে ধরা হচ্ছে চট্টগ্রামের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য প্রভৃতি। পরিবেশ সুরক্ষায়ও পূর্বকোণের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। সচেতন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পূর্বকোণ বিলবোর্ড উচ্ছেদ আন্দোলনসহ নানা পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন পরিচালনা করে সফলতা পেয়েছে। মানবিক মেলার আয়োজনসহ নানামাত্রিক কর্মসূচিতে পূর্বকোণ একটি মানবিক সমাজ গড়ার আন্দোলনও ছড়িয়ে দিয়েছে। এক কথায়, সমাজ ও দেশবাসীর জন্যে হিতকর সবকিছুতেই পূর্বকোণ সম্পৃক্ত। শুরু থেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই এই পত্রিকার অবস্থান সুস্পষ্ট। ফলে পূর্বকোণ অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছে। পরিণত হয়েছে জনমানুষের আস্থার প্রতীকে। পরিচিতি পেয়েছে ‘গণমানুষের পত্রিকা’ হিসেবে। পরিণত হয়েছে মানে ও পাঠকপ্রিয়তায় এ অঞ্চলের এমনকি দেশের অন্যতম সেরা পত্রিকায়। সবার সমর্থন ও সহযোগিতায় তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ সংবাদপত্রজগতে পূর্বকোণের মর্যাদাপূর্ণ আসন লাভ সম্ভব হয়েছে। পাঠকের প্রত্যাশা পূরণের ফলে পূর্বকোণের পাঠক সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আগামীর দিনগুলোতেও পাঠকচাহিদা এবং পাঠকপ্রিয়তাকে সম্বল করে এগিয়ে যাওয়ার ধারা অব্যাহত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, ইনশাআল্লাহ। সবাইকে আবারও জানাই প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা। অতীতের মতো আগামীর বন্ধুর দিনগুলোতেও সবাইকে পাশে পাব- এমন প্রত্যাশা, আজকের শুভদিনে।
পূর্বকোণ/পিআর