বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাস, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএন উইমেনের সহযোগিতায় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের ডিসি হিল এলাকায় ‘বাংলাদেশি ও সুইডিশ বাবা’ ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীর শুরু হয়েছে।
প্রদর্শনীটি পিতৃত্বের যথাযথা ভূমিকা এবং পরিবার ও সমাজের ওপর এর গুরুত্বকে তুলে ধরবে।
পিতৃত্ব সর্বত্রই পরিবর্তিত হচ্ছে- প্রথাগত রোলের বাইরে এসে এখন দায়িত্ব ও সমতার ভাগাভাগির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিখ্যাত সুইডিশ ফটোগ্রাফার ইউহান ব্যাভম্যানের ‘Swedish Dads’ সিরিজ দ্বারা অনুপ্রাণিত, এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশে পিতৃত্বের বিভিন্ন রূপকে তুলে ধরেছে, যাতে বাংলাদেশি বাবাদের ভালোবাসা, যত্ন এবং সমাজে সমতার গুরুত্ব নিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে, সুইডিশ বাবারা সক্রিয় ভূমিকায় পিতামাতার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। যা আমাদের সমাজে পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা জোগায়।
চট্টগ্রামের আগে ঢাকা ও খুলনায় এই প্রদর্শনীটি অনুষ্ঠিত হয়েছে যাতে মোট ৫০০০ দর্শক উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়, চট্টগামের এই প্রদর্শনীটি চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনলাইনে এক মাসব্যাপী প্রতিযোগিতায় ১০০টি আবেদন থেকে নির্বাচিত ২৩ জন বাবা এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছেন। বিচারক প্যানেলে ছিলেন- বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. নিকোলাস উইকস, ইউএনডিপি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ, মিঃ স্টেফান লিলার, ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে, ইউএন উইমেনের প্রতিনিধি মিস গীতাঞ্জলি সিং, প্রথম আলো’র সিনিয়র ফটোগ্রাফার সাবিনা ইয়াসমিন এবং সাইফুল হক।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী উনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, এইচএ নিকোলাস উইকস, ইউ এনডিপির আবাসিক প্রিতিনিধি সস্টেফান লাইলার ত্ত চট্টগ্রামের ডিসি মহোদয় ফরিদা খানম।
এই প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করার মাধ্যমে, পিতৃত্ব, পজিটভ ম্যাস্কুলিনিটি, সমতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পূর্বকোণ/এএইচ