চট্টগ্রাম বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোজিনের মৃত্যু হয়: ইঙ্গিত পুতিনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৬ অক্টোবর, ২০২৩ | ১২:০২ অপরাহ্ণ

প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছিলেন রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। এমনকি প্রিগোজিনের প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলেও অনেক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। অনেকে আবার এই জল্পনাকে বিশ্বাসযোগ্য বলেও মনে করেন।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার মৃত্যু নিয়ে নতুন ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে যে বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিহত হয়েছিলেন, সেটি বিমানের ভেতরে হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণের কারণে হয়েছিল বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

পুতিন ইঙ্গিত দেন, প্রিগোজিনের বিমানটি ভেতর থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুজবের কাহিনির মতো কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেটিকে আঘাত করা হয়নি। তিনি বলেন, গত আগস্টে দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন।

রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় পুতিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনো বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না— এটি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সত্য।’

তার এই কথার মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবিকে মিথ্যা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস— প্রিগোজিনের বহনকারী বিমানটিকে গুলি করা হয়েছিল।

প্রিগোজিন একসময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। কিন্তু দুই মাস আগে গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও শুরু করেন তিনি।

ওই ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে প্রিগোজিন পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোজিনকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।

গত আগস্টে ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিলেন প্রিগোজিন। পথে কুঝেনকিনো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

উড়োজাহাজে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে ছিল প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতকিন। এ ছাড়া প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষীও সেখানে ছিলেন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ আরোহীর সবাই নিহত হন।

তবে এক্সিকিউটিভ জেটে কীভাবে গ্রেনেড বা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটানো যেতে পারে, সে সম্পর্কে পুতিন আর কোনো তথ্য দেননি। তবে তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ পরীক্ষা না করা তদন্তকারীদের ভুল ছিল।

পুতিন বলেন, ‘আমার মতে, এই ধরনের পরীক্ষা করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।’

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন