চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪

চসিকের মশক নিধনে ব্যয় চারগুণ বাড়লেও উৎপাত কমেনি মশার

ইমরান বিন ছবুর

১ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

মশক নিধনে বছরের ব্যবধানে চারগুণ ব্যয় বাড়িয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। মশার কামড়ে প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন নগরবাসী। মৃত্যুও বরণ করছেন অনেকেই। নগরবাসীর অভিযোগ মশক নিধনে গতানুগতিক পদ্ধতির ব্যবহার এবং অবহেলা ও অনিয়মের কারণেই চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তবে চসিকের কর্তকর্তারা বলছেন, মশা মারতে তারা চেষ্টার ত্রæটি রাখছেন না।

 

চসিক সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মশক নিধনে চসিকের ব্যয় হয়েছিল ৯০ লাখ টাকা। মশা মারতে পরের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এ ব্যয় চারগুণের বেশি বাড়ানো হয়। ব্যয় দাঁড়ায় ৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। অফিস, বাসাবাড়ি এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দিনরাত সমানে কামড়াচ্ছে মশা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ক্যাম্পেইন, ক্রাশ প্রোগ্রাম ও সচেতনতাতেও যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মশা। ছয় মাসের ব্যবধানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১২১ গুণ।

 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, গতকাল বৃহস্পতিবারও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭১ জন। সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৫ জন। আগস্টে আক্রান্ত হয়েছেন ১২২ জন, জুলাই মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭, জুন মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ এবং মে মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। অর্থাৎ, গত ছয় মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১২১ গুণ।

 

নগরীর ১৯ নম্বর বাকলিয়া থানাধীন মিয়াখান নগর এলাকার বাসিন্দা ইসহাক খান বলেন, গত এক মাসেও আমাদের এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়নি। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মশার উৎপাতও বেড়েছে কয়েক গুণ। শুধু রাতে না, এমনকি দিনেও মশার কয়েল বা মশারি ছাড়া বাসায় থাকা যাচ্ছে না।একই এলাকার আব্দুল হাকিম আবাসিক এলাকার মনেরেখ ভবনের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. মিসবাহ বলেন, মশার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। আমাদের এদিকে সিটি কর্পোরেশনের মশক কর্মীদেরও মাসেও দেখা যায় না। মশার কামড়ে পরিবারের সবার ত্বকে দাগ পড়ে গেছে। সবাই ডেঙ্গু আতঙ্কে আছি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৯১ জনের একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ‘লাল বা অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকায় নিয়মিত মশার ওষুধ দিচ্ছেন। এটা ছাড়াও নগরীর সবগুলো এলাকায় নিয়মিত ওষুধ দেয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়াও, নির্দিষ্ট এলাকার কেউ আমাদের অভিযোগ করলে আমরা সেখানে মশার ওষুধ দেয়ারও ব্যবস্থা করছি।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট