চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৪

আওয়ামী লীগের সঙ্গী জাপা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জুন, ২০২৩ | ১২:০৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। ডবলমুরিং থানা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি সামশুল আলমকে দলীয় প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি। তবে এখনো মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি আওয়ামী লীগ ঘরনার কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী।  সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ জুলাই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৪ জুলাই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়।

 

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গতকাল পর্যন্ত চারজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণের জন্য ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় জানায়, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টির সামশুল আলম, গণফ্রন্টের মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরমান আলী, বাবু দাশ।

 

জাপার সামশুল আলম পূর্বকোণকে বলেন, ‘দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। দলীয় ও ঘরোয়া বৈঠক করে নেতাকর্মীদের চাঙা করে তোলা হচ্ছে। ২ জুলাই চকবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে নগর জাতীয় পার্টির সভা ডাকা হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

 

তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র ও আ. লীগ নেতার মা জয়লাভ করেছেন। আশা করছি, চট্টগ্রাম-১০ আসনেও সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন হবে। কারণ চার মাসের এ নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগ হারলেও সরকারে কোনো প্রভাব পড়বে না।

 

গত ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে নগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মো. এয়াকুব চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দেননি তিনি। এয়াকুব চৌধুরী বলেন, উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় পার্টি। দলীয় প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। তবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি।  ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করেনি।

 

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক সোলায়মান শেঠ বলেন, ‘আমরা ভালো প্রার্থী দিয়েছি। আমরা চাই, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিক। জাতীয় পার্টি মারামারি, সহিংসতা ও ভোটকেন্দ্র দখলের রাজনীতি করে না। কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো হলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসবে না। সদস্য সমাপ্ত বিভিন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমরা তা দেখেছি। আশা করছি, নির্বাচন কমিশন ভোটের সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

 

আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। সেই হিসাবে উপনির্বাচনের মেয়াদ থাকবে ৪-৫ মাস। স্বল্প মেয়াদের এ নির্বাচনে বড় আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নির্বাচন কমিশন।

 

রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্র ও ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৯ হাজার ৪৭৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪৯ হাজার ২০২ জন। মহিলা ভোটার দুই লাখ ৪০ হাজার ২৭১ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫৬ টি। ভোটকক্ষ ১২৫২টি।

 

প্রসঙ্গত, গত ২ জুন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে ৪ জুন ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডা. আফছারুল আমীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এ আসন থেকে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট