চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

বোয়ালখালীতে বসতঘরে মিলল সাপের ২৭টি ডিমের খোসা

গত এক সপ্তাহে পাওয়া গেছে ১১ পদ্মগোখরোর বাচ্চা

বোয়ালখালীতে বসতঘরে মিলল সাপের ২৭টি ডিমের খোসা

বোয়ালখালী সংবাদদাতা

৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ৩:৩১ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক বসতঘরের পাকা মেঝের নিচে মিলেছে সাপের ২৭টি ডিমের খোসা। গত এক সপ্তাহে একে একে পাওয়া গেছে ১১টি পদ্মগোখরোর বাচ্চা। এ নিয়ে আতঙ্কে দিন যাপন করছে পরিবারটি। ওঝার মাটি পড়া, বালি পড়া দিয়েও মিলছে না সুরাহা। এজন্য হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে ফেলেছেন পরিবারটি। উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের হাফেজ আহমেদের বাড়িতে এ সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।

 

পরিবারের সদস্য শওকত হোসাইন সাজ্জাদ বলেন, গত এক সপ্তাহে অন্তত ১১টি পদ্মগোখরো সাপের বাচ্চার পাওয়া গেছে ঘরে। এ নিয়ে ওঝা বৈদ্য কোনো কিছুই বাদ রাখিনি। তারা মাটি পড়া, বালি পড়া অনেক কিছুই দিয়েছে। শেষতক ঘরের পাকা মেঝে ভেঙেছে। মেঝের নিচ থেকে ২৭টি ডিমের খোসা মিলেছে। এনিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।

 

ওয়াইল্ড লাইফ এন্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন বলেন, বড় সাপ সাধারণত ডিম দিয়ে চলে যায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৫০-৭০ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটে নিজ থেকে বের হয়ে যায়।

 

ওঝা বৈদ্যের বালি পড়া মাটি পড়া ও সাপের হাড় মানসিক প্রশান্তি দিলেও এসব মূলত কাজ করে না। গত সোমবার (৬ অক্টোবর) বাড়িটিতে গিয়ে বড় একটা সাপের খোলস পেয়েছি। মেঝের নিচে ফাঁপা জায়গা রয়েছে। ফলে সাপটিকে রেসকিউ করা সম্ভব হয়নি।

 

এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে খবর পেয়ে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ পাড়া জফুর মেম্বার বাড়ির হাঁস-মুরগির ঘর থেকে একটি পদ্মগোখরো সাপ উদ্ধার করেন আমির হোসাইন শাওন।

 

শাওন জানান, বসতঘরের সাথে লাগোয়া ছিলো হাঁস-মুরগির ঘর। সেখানে ৩টি হাঁস ছিল। সাপটি হাঁসের দুটো ডিম খেয়ে ফেলেছে এবং একটি হাঁস মেরে ফেলেছে। সাপটির বয়স প্রায় ৭-৮ বছর হবে। প্রায় ৬ ফুট লম্বা সাপটি উদ্ধার করে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে। মানুষের আগ্রাসনের ফলে নিরাপদ বাসস্থান হারাচ্ছে সাপ। ফলে যত্রতত্র দেখা মিলছে সাপের।

 

শাওনের দাবি, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ভণ্ডরা মানুষকে মাটি পড়া, বালি পড়া ও সাপের হাড় দিয়ে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট