কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ রোহিঙ্গা কিশোরকে অপহরণের ঘটনায় ৯ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় অপহৃত ৩ কিশোরকে উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৮ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ৮-এপিবিএন’র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ।
গ্রেপ্তার ৯ সদস্য হল, নুরুল আমিন (৩২), মো. ফয়সাল (১৮), শফিকুল (১৮), সাইফুল ইসলাম (২২), মিজানুর রহমান (১৮), আব্দুর রহমান (১৭), মোহাম্মদ পারভেজ (১৪), মো. মোবারক (১৭) ও মো. আমিন (১৭)।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গা কিশোররা হলেন, ১৩ নম্বর ক্যাম্পের সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৪), মোহাম্মদ তাহেরের ছেলে আনিসুর রহমান (১৩) ও ইলিয়াসের ছেলে সৈয়দ নুর (১২)।
জানা যায়, গত ২ জুলাই দুপুর ১১টার দিকে ১৩ নম্বর ক্যাম্পের ৩ রোহিঙ্গা কিশোরকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফ নিয়ে যায় অপরাধ চক্রের সদস্যরা। অপরাধী চক্র একই কায়দায় ৬ জুলাই ওই ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকা থেকে আরও ৬ জন রোহিঙ্গা কিশোরকে অপহরণ করে টেকনাফে নিয়ে যায়।
উক্ত অপহরণের ঘটনায় উখিয়ার ৮ এপিবিএনের সদস্যরা টেকনাফে অভিযান চালিয়ে জীবিত ৩ রোহিঙ্গা কিশোরকে উদ্ধার করে। অপহরণের ঘটনায় উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, অপহরণের সংবাদ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। শুক্রবার ভোর থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে ৩ রোহিঙ্গা কিশোরকে উদ্ধার এবং অপহরণ ও মানব পাচারকারী চক্রের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, এ চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা হতে সুপারির কাজসহ অন্য কোন কাজের প্রলোভনে টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় সুপারি বাগানের ভিতরে নির্জন স্থানে বিশেষ কৌশলে আটক রাখে। অত:পর ভিকটিমদের চোরা পথে নৌকাযোগে মিয়ানমারের শামিলা এলাকায় প্রেরণ করে আটক রেখে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের কাছ থেকে সুকৌশলে বড় অংকের টাকা আদায় করে মুক্তি দেয়। অনেক সময় এই অপরাধ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও বিস্তৃত তদন্তের মাধ্যমে অপহৃত অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পূর্বকোণ/মানিক/জেইউ/পারভেজ