কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যা পালং শ্রাবস্তি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুকে হত্যার প্রতিবাদে রামু উপজেলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে রামু চৌমুহনী স্টেশনে রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদ, রামু বুড্ডিস্ট স্টুডেন্টস কাউন্সিল, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব, উত্তর মিঠাছড়ি প্রজ্ঞা-সার যুব কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে যৌথভাবে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা রনধীর বড়ুয়া, শিক্ষক কিশোর বড়ুয়া, রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মণ্ডল, রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ ঐক্য ও কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন বড়ুয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নী, রামু কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের পুরোহিত সজল ব্রাহ্মণ চৌধুরী, রামু সোনালী অতীত ফুটবল ক্লাবের সভাপতি পলক বড়ুয়া আপ্পু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুজন শর্মা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, ইউপি সদস্য স্বপন বড়ুয়া, বিপুল বড়ুয়া আব্বু, উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পদক সিপন বড়ুয়া, সুরেশ বড়ুয়া বাঙ্গালী, মৌলানা সিরাজুল ইসলাম, কেতন বড়ুয়া, বিমল বড়ুয়াসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসলিম, হিন্দু ধর্মালম্বী নারী-পুরুষ অংশ নেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুর সাথে কারও শত্রুতা ছিল না। উচ্ছৃঙ্খল দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এ সময় বক্তারা প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারের নিরাপত্তা জোরদার করারও দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গভীর রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা শ্রাবস্তি বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুর (৭০) ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন গত সোমবার (৩ জুলাই) সকালে বৌদ্ধবিহারের একটি কক্ষ থেকে ধর্মজ্যোতি ভিক্ষুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত ধর্মজ্যোতি ভিক্ষু গত বুধবার (৫ জুলাই) রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পূর্বকোণ/নীতিশ/জেইউ/পারভেজ