ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, একটি দেশের জাতির পিতা কে হবে সেটা নির্ধারণ করবে সেই দেশের জনগণ, কোনো ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল না। বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ মুজিবুর রহমানকে যদি দেশের মানুষ জাতির পিতা মনে করতো তাহলে ৫ আগস্ট বিপ্লবী ছাত্র-জনতা তার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলত না। শেখ মুজিব জাতির পিতা নয়, আওয়ামী ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রতীকী মাধ্যম। এর আগে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা মনে করে না অন্তর্বর্তী সরকার।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত করেছে। তাকে আপনারা ‘জাতির পিতা’ মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দল হিসেবে ফ্যাসিস্টভাবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে নাহিদ বলেন, আপনারা যদি আওয়ামী লীগের করা সবকিছু মনে করেন জাতীয় জাতীয়..। ভোটবিহীন সরকারেরই কোনো বৈধতা নেই। সেই সময়ে অনেক কিছু করা হয়েছে। সবগুলোকে পুনর্গঠন ও পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক মনে করে কিনা এ সরকার- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই না’।
তাহলে আমাদের কোনো জাতির পিতা থাকবে না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু কেবল ৫২তেই শুরু হয়নি, আমাদের ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, ৪৭ ও ৭১-এর লড়াই আছে, ৯০ ও ২৪ আছে। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছে। তাদের লড়াইয়ের ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।সূত্র :যুগান্তর
পূর্বকোণ/আরআর