চট্টগ্রাম সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একুশে সম্মাননা পেলেন ১৪ গুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের অমর একুশে বইমেলার পর্দা আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে নামল। তবে, পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া অমর একুশে বইমেলার পাঠকরা বই কিনতে পারবেন আরও দুদিন, শুক্রবার পর্যন্ত।

 

বইমেলায় এবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একুশে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়েছে ভাষা আন্দোলনে বদিউল আলম চৌধুরী (মরণোত্তর), সমাজসেবা ও গবেষণায় অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, চিকিৎসাবিজ্ঞানে অধ্যাপক ইমরান বিন ইউনুস, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সমাজসেবায় কামরুন মালেক, সঙ্গীতে নকীব খান, সাংবাদিকতায় জাহেদুল করিম ও ক্রীড়ায় তামিম ইকবাল খানকে।

 

এ ছাড়া সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন কথাসাহিত্যে অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ (মরণোত্তর), প্রবন্ধ ও গবেষণায় অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে মিজানুর রহমান শামীম, শিশু-চিকিৎসা সাহিত্যে অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী, কবিতায় জিললুর রহমান ও অনুবাদে ফারজানা রহমান শিমু।

 

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, চট্টগ্রামে আর পাহাড় কাটা যাবে না। পাহাড় কাটলে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা হবে না। মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। আইনের মুখোমুখি করতে হবে। তখন আর কেউ পাহাড় কাটবে না। পাহাড় যদি না থাকে তাহলে চট্টগ্রামের পরিচয় কী থাকে। কেউ যদি পাহাড় কাটেন তাহলে তা জেলা প্রশাসককে জানানোর অনুরোধ জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। যদি জেলা প্রশাসক কাজ না করলে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে জানাতে বলেন তিনি।

 

বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, এই আয়োজন চট্টগ্রামের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বইমেলার এই ২৬ দিনের প্রতিটি আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গর্বের। বাইরের কোনো শিল্পী নয়, আমাদের সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষার্থীরাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো উপস্থাপন করেছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে সমাজের নেতৃত্ব দেবে। এ ধরনের আয়োজন তাদের প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

মেয়র ১৫০টিরও বেশি স্টল ও প্রকাশক-লেখকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যারা মেলায় অংশ নিয়ে এটি সফল করতে সহযোগিতা করেছেন। চট্টগ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকেও তিনি সাধুবাদ জানান।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সম্মাননা স্মারক পদক পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, পদক পাওয়া অধ্যাপক ইমরান বিন ইউনুস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সম্মাননা পাওয়া মরহুম বদিউল আলম চৌধুরীর মেয়ে নাজনীন কাউসার চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। পদক পাওয়া গুণী ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন উপদেষ্টাসহ অতিথিরা।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ প্রমুখ।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট