চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজের ৮ শিক্ষককে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১:৪২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের হাজেরা-তজু ডিগ্রি কলেজের আটজন শিক্ষককে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে গর্ভনিং বডি তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। রবিবার (২৪ নভেম্বর) কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন দাশ স্বাক্ষরিত নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

 

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হল- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কাজী মঈনুল ইসলাম, উচ্চতর গণিত বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ ছাবের উদ্দীন, গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আবদুল্লাহ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এ কে এম নাজমুল হাসান, পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল হাসান, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক নুরুল আবছার ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. জমশেদ উদ্দিন চৌধুরী।

 

এর মধ্যে মোহাম্মদ ছাবের উদ্দীন ও নুরুল আবছারকে চাকরিতে স্থায়ীকরণ করা হবে না বলে জানানো হয় এবং অন্য ছয়জনকে চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল থেকে নোটিশ কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়। বরখাস্তের নোটিশে বলা হয়- নিম্নবর্ণিত কর্মকাণ্ডের জন্য গর্ভনিং বডি তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

 

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- শিক্ষকদের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ, নিয়োগপত্রের ৭ ও ১০ নম্বর শর্ত লঙ্ঘন করে শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও রাজনীতি প্রবেশ করানোর চেষ্টা, শ্রেণি কার্যক্রম চলা অবস্থায় কলেজে উপস্থিত না থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, ক্লাসে উপস্থিত না থেকে কোচিং বাণিজ্য করা এবং কোচিংয়ের ছেলেদের দিয়ে শিক্ষাঙ্গনে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করা, রুটিন অনুযায়ী কলেজে ক্লাস করতে না যাওয়া, কলেজের সিসি ক্যামেরা ও তার হার্ডডিক্স নিয়ে যাওয়া, কলেজের গুরুত্বপূর্ণ নথি বের করে বাইরে নিয়ে যাওয়া, নিজ নিজ কোচিংয়ে ছেলেদের অতিরিক্ত নাম্বার দেওয়া।

 

তাদের কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র সরবরাহ করা, কোচিং না করলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়া, জোরপূর্বক অধ্যক্ষের সিল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া, বহিরাগত কিছু লোকজন ও প্রাক্তন ছাত্রদের দিয়ে জোরপূর্বক উপাধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করা, অডিও ক্লিপ এর মাধ্যমে ছাত্রদের কোচিং-এ আসতে বলা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজ বিরোধী পোস্ট করা, জোরপূর্বক উপাধ্যক্ষ এস. এম. আইয়ুবকে অব্যাহতি দানে বাধ্য করা এবং তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেওয়া এবং ছাত্রদের সংঘবদ্ধ করে উক্ত নোটিশটি ছিঁড়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।

 

মোহাম্মদ ছাবের উদ্দীন ও নুরুল আবছারকে প্রদানকৃত নোটিশে বলা হয়- ইস্যুকৃত নিয়োগপত্রের শর্ত মোতাবেক সম্পাদিত শ্রেণিকার্যক্রম ব্যবস্থা সন্তোষজনক না হওয়া এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে কলেজের শৃঙ্খলার অবনতিজনিত কাজে লিপ্ত হওয়ায় চুক্তির ৪, ৫ এবং ১০ নম্বর শর্ত অনুযায়ী একমাসের অগ্রিম বেতন প্রদান পূর্বক তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এ বিষয়ে জানতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চয়ন দাশকে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট