চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সর্বশেষ:

রামগড় ও বিলোনিয়া স্থলবন্দরের ভাগ্য নির্ধারণে কমিটি গঠন

নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড়

১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়ির রামগড় ও ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দরের মাধ্যমের বাংলাদেশের লাভ -ক্ষতি নিরূপণে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ দুটি স্থলবন্দরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন রামগড় এবং বিলোনিয়া স্থলবন্দর সংক্রান্ত এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে। আদেশে বলা হয়, রামগড় এবং বিলোনিয়া স্থলবন্দর সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শামীম আলম।

 

কমিটির সদস্য হিসেবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়েরর যুগ্ম সচিব মো. রফিকুল করিম ছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এই কমিটি বিলোনিয়া এবং রামগড় স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক বন্দরগুলোর ভৌগলিক অবস্থান, আন্তঃদূরত্ব, যোগাযোগ ব্যবস্থা, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, রাজস্ব আয়, এসব স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী আগমন ও বহির্গমন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বর্তমান প্রেক্ষাপটে যাচাইপূর্বক মতামত প্রদান করবে।

 

এছাড়াও বর্ণিত বন্দর দুটিতে ব্যবহারকারী পক্ষগুলোর বিদ্যমান এবং সম্ভাবনাময় আমদানি-রফতানি পণ্য, পরিমাণ এবং পক্ষসমূহ কর্তৃক অর্থনৈতিক সুফল ভোগের বিষয়ে বন্দরভিত্তিক তুলনামূলক পর্যালোচনাপূর্বক মতামত প্রদান করতে বলা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মতামত এবং সুপারিশসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করতে বলা হয়েছে। ফেনির পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে স্বল্প পরিসরে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চালু রয়েছে। অন্যদিকে, খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের কোন কার্যক্রমই এখনও শুরু হয়নি।

 

বর্তমানে বিশ্বব্যাংক, ভারতীয় ঋণ ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে রামগড় স্থলবন্দরের অবকাঠামো ও সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী জুন মাসে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, নৌপরিবহন উপদেষ্টা গত ১২ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরে এ কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট