সাইবার নিরাপত্তা আইনে থাকা বিতর্কিত ৯টি ধারা বাদ দেওয়ায় ৯০-৯৫ শতাংশ মামলা খারিজ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (৬ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা আইনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এ সপ্তাহে আইনটি চূড়ান্ত হবে।
তিনি জানান, বিগত সরকারের আমলে জাতির পিতা এবং জাতীয় পতাকা অবমাননা নিয়ে যেসব মামলা হতো সেগুলোসহ ৯টি ধারা বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া ৯টি ধারায় ৯৫ শতাংশ মামলা হতো, যা এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
উপদেষ্টা জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক মামলাগুলোকে দ্রুত আমলে নেয়ার ব্যাপারে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে।
‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩’ প্রণয়ন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সেই আইন বাতিল করে এরই মধ্যে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগের সরকারের করা আইনের ২০, ২১, ২৪, ২৫, ২৯ ধারাসহ ৯টি বিতর্কিত ধারা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তিনটা আইনের অনুমোদন হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইনের খসড়া অনুমোদন। সিভিল প্রসিডিউর কোর্ট-সিপিসি আইনের অনুমোদন। এর ফলে সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের বড় সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া হবে না। নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অনেকে বিদ্বেষমূলক আচরণ এবং অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। ভিন্নমতের প্রকাশ শালীনভাবে হওয়া প্রয়োজন। নারী সংস্কার কমিশন শুধুমাত্র তাদের সুপারিশ দিয়েছে।
পূর্বকোণ/পারভেজ