চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

সর্বশেষ:

‘গ্রিন রেলের’ মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন একনেকে
ছবি: সংগৃহীত

‘গ্রিন রেলের’ মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন একনেকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

সড়ক নির্ভরতা কমাতে রেলপথ নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক। রবিবার (২০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়েকে ‘গ্রিন রেলওয়েতে’ রূপ দেওয়ার জন্য কয়েকটি মেগা প্রকল্প নেওয়া হবে। এসব মেগা প্রকল্পের রুট নির্ধারণ ও সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে কী পরিমাণ ব্যয় হবে, কবে নাগাদ ডিপিপি সম্পন্ন করতে হবে, বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য কী- তা বিশ্লেষণ করার জন্য ‘গ্রিন রেলওয়ে পরিবহন প্রস্তুতিমূলক কারিগরি সহায়তা’ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে।

 

প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প ঋণ ৬৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত। এই কারিগরি প্রকল্পসহ মূল অবকাঠামো বিনিয়োগ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করতে প্রাথমিকভাবে সম্মতি জানিয়েছে।

 

প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার কমলাপুরে মাল্টিমোডাল পরিবহন হাব নির্মাণের সুবিধার্থে বিদ্যমান অপারেশনাল এবং রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা স্থানান্তরসহ স্টেশন বিল্ডিং ইয়ার্ড পুনঃনির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে। এছাড়া বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে মাল্টিমোডাল পরিবহন হাব নির্মাণে স্টেশন ভবন ও সুবিধা পুনঃনির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে।

 

চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে বে-টার্মিনাল হয়ে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপন এবং ইয়ার্ডের উন্নয়ন, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে রেল সংযোগকারী অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে। মালবাহী লোকোমোটিভ, রিলিফ ট্রেন ও হুইল লেদ কেনার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হবে।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন বন্দর থেকে ৯৬ শতাংশ মালামাল সড়কপথে সারাদেশে সাপ্লাই দেওয়া হয়। এতে জীবাশ্ম জ্বালানি বা ফসিল ফুয়েল বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে রেলওয়ের মাধ্যমে এসব মালামাল পরিবহন করা গেলে কম জ্বালানি পুড়িয়ে, স্বল্পখরচে সারাদেশে সাপ্লাই দেয়া সম্ভব হবে। এতে পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে।

 

এছাড়া ট্রেনেও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে ইলেক্ট্রিক রেলপথ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। দেশের ৩৪৮ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ট্র্যাকে এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম অংশের ৩৩৬ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার রয়েছে। ২০৩২ সালের মধ্যে ৩৪৮ দশমিক ১৬ কিলোমিটার ট্র্যাককে ৭০টি স্টেশনসহ বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন সিস্টেমে রূপান্তর করার লক্ষ্য রয়েছে।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট