সিলেটের কানাইঘাটে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে জামিন দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তার বিরুদ্ধে দেশের অন্যান্য স্থানে মামলা থাকায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট আদালত পরিদর্শক জমসেদ আলম। তিনি জানান, কানাইঘাটের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সাবেক বিচারপতি মানিককে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তার আইনজীবী আদালতে এ মামলায় জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে, গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেদিন আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। এসময় তাকে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারা হয়। এতে তার অণ্ডকোষেও গুরুতর আঘাত লাগে। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওসমানীতে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মানিককে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দেয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত এদিন দুপুরে তাকে ডিসচার্জ দেওয়া। পরে কড়া নিরাপত্তা ও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে।
পূর্বকোণ/পিআর