চট্টগ্রাম বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

নাইজেরিয়ায় দ্রব্যমূল্যের বিক্ষোভ: ২৯ শিশু অভিযুক্ত, হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ২:৩৪ অপরাহ্ণ

নাইজেরিয়ায় নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে পারে ২৯ শিশু। আইন অনুযায়ী আদালত তাদের মৃত্যুদণ্ডও দিতে পারে।

 

এ মামলায় মোট ৭৬ জন বিক্ষোভকারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, সম্পত্তি ধ্বংস, জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, বিদ্রোহসহ ১০টি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২৯ জনের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।

 

সিএনএন লিখেছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক মাসে দফায় দফায় গণবিক্ষোভ দেখেছে নাইজেরিয়া। আগস্টে কর্মসংস্থান ও তরুণদের জন্য ভালো সুযোগ-সুবিধার দাবিতে বিক্ষোভে গুলি চালানো হলে অন্তত ২০ জন নিহত হন, গ্রেপ্তার হন শতাধিক বিক্ষোভকারী।

 

নাইজেরিয়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু হয়েছে গত শতকের সত্তর দশকে। তবে ২০১৬ সাল থেকে এ দণ্ড কার্যকরের নজির নেই। আবুজাভিত্তিক আইনজীবী আকিনতায়ো বালোগুন বলেন, শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী কোন শিশুকে ফৌজদারি মামলায় আদালতে হাজির করা কিংবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুযোগ নেই।

 

তিনি বলেন, এই ছেলেদের সবার বয়স ১৯ বছরের বেশি- এটি সরকার যদি প্রমাণ করতে না পারে, তাহলে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ফেডারেল হাইকোর্টের সামনে নিয়ে যাওয়া বৈধ নয়।

 

কয়েকজন কিশোরের আইনজীবী মার্শাল আবু বকর বলেন, আদালত শেষ পর্যন্ত আসামিদের প্রত্যেককে এক কোটি নায়রার (৫ হাজার ৯০০ ডলার) মুচলেকায় কঠোর শর্তে জামিন দিয়েছে। একটি দেশের দায়িত্ব যেখানে শিশুদের শিক্ষিত করা, সেখানে তারা শিশুদের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এসব শিশুকে ৯০ দিন ধরে না খাইয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

 

সুশাসনের জন্য কাজ করা নাগরিক সমাজের সংগঠন এনাফ ইজ এনাফের নির্বাহী পরিচালক ইয়েমি আদামোলেকুন বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে বিচার করার অধিকার কর্তৃপক্ষের নেই। প্রধান বিচারপতির লজ্জা হওয়া উচিৎ, তিনি একজন নারী ও মা।

 

সিএনএন লিখেছে, আফ্রিকার শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হওয়ার পরও বিশ্বে দরিদ্রই রয়ে গেছে নাইজেরিয়া। দীর্ঘস্থায়ী দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষের কষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের জীবনধারায় খুব কমই প্রতিফলিত হয়। স্বল্প বেতনের প্রতিবাদে স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে প্রায়ই ধর্মঘট করেন। দেশটির রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে; কেউ কেউ আফ্রিকার মধ্যে সর্বোচ্চ ঘুষগ্রহীতাও। এমনকি প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এখন করদাতাদের অর্থায়নে এসইউভি এবং অন্যান্য বিলাসী পণ্য পাওয়ার অধিকারী।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন