চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সিএমবিএ’র স্মরণসভায় বক্তারা

মরেও লাখো ভক্তের হৃদয়ে অমর আইয়ুব বাচ্চু

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ অক্টোবর, ২০১৯ | ৩:০০ পূর্বাহ্ণ

মরেও আইয়ুব বাচ্চু অমর লাখ ভক্তের হৃদয়ে। বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। একজন মানুষ নানামুখী প্রতিভার অধিকারী বাচ্চুকে দেখে বুঝা যায়। তার হাতের ছোয়ায় গিটারে প্রাণের সঞ্চার হত। যার গানের পাগল ছিল লাখ মানুষ। ব্যান্ড সঙ্গীতের জগতে অসামান্য অবদান রেখেছেন এই কিংবদন্তি শিল্পী। লাখ ভক্তের ভালোবাসায় সিক্ত আজ তিনি। বাংলাদেশে এ প্রথম কোনো শিল্পী এত সম্মান পেয়েছেন। যাকে স্মরণ করে রাখতে তার নামে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে রুপালি গিটার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর। আইয়ুব বাচ্চুর ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণে অতিথিরা এ কথা বলেন।

গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে শিল্পী আইয়ুর বাচ্চুর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চিটাগাং মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন (সি এম বি এ) স্মরণ সভার আয়োজন করে। চিটাগাং মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা আহমেদ নেওয়াজের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন চিটাগাং মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম জাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, উপদেষ্টা জ্যাকব ডাইস, সাবেক সভাপতি সূব্রত বড়–য়া রনি, মোহাম্মদ আলী, কার্যকরী কমিটির সদস্য সমর বড়–য়া, রায়হান আল হাসান ও সিসিএল ডিরেক্টর শ্যামল কুমার পালিত। সভার প্রথমে শিল্পী স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন সবাই। স্বাগত বক্তব্যে সূব্রত বড়–য়া রনি বলেন, আইয়ুর বাচ্চু এমনি এক শিল্পী যে মরে গিয়েও অমর হয়ে আছেন হাজারো ভক্তের হৃদয়ে। এমনি এক গুণী শিল্পীকে খুব অল্প বয়সেই আমরা হারিয়েছি। যার থেকে আগামী প্রজন্ম আরো অনেক কিছু পেত। তার অকাল প্রয়াণ মেনে নেয়া যায় না। সভায় তাঁর ছোটবেলার বন্ধু ও শিক্ষকসহ অতিথিরা স্মৃতিচারণ করে বলেন, আইয়ুর বাচ্চু ছিলেন চট্টগ্রামের গর্ব। কিন্তু তিনি ছিলেন সারাদেশের সম্পদ। বিদেশের মাটিতেও তাঁর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জয় করে গেছেন লাখ ভক্তের মন। তিনি সঙ্গীতকে তার হৃদয়ে ধারণ করেছেন।

সঙ্গীতের পথে শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু প্রথম প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেন বিশিষ্ট গিটারিস্ট জ্যাকব ডাইস থেকে। ‘স্পার্ক ব্যান্ডের’ মাধ্যমেই তাঁর প্রথম সঙ্গীত জীবন শুরু। যদি কখনো ব্যান্ড শিল্প নিয়ে ইতিহাস লেখা হয় তবে তাঁর নাম লেখা হবে সবার আগে।

স্বর্ণাক্ষরে ঝলমল করবে তাঁর নাম। তাঁর জন্য আমরা গর্বিত। সভায় সবার প্রিয় শিল্পী স্মরণে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের। অশ্রুসিক্ত হয় দর্শকসারিও। সভার শুরুতেই শিল্পী স্মরণে তরুণ শিল্পী আদর বাঁশির সুরে প্রিয় শিল্পীর গান পরিবেশন করে। এছাড়া শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনায় সি এম বি এ’র পক্ষ থেকে সকালে তাঁর কবর জিয়ারত, মিলাদ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট