চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় সার্কিট হাউস সংলগ্ন পরিত্যক্ত শিশুপার্কে ছয়দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে এ বিজয় মেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।
বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তিতে ‘চলো দুর্জয় প্রাণের আনন্দে’ প্রতিপাদ্যে এ মেলার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৯০’র গণঅভ্যুত্থান ও ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধকে সামনে রেখে মেলায় প্রতিদিনের আয়োজনে থাকবে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও বিজয়ের কথামালা।
এদিকে, চট্টগ্রামের নিজস্ব কৃষ্টি, কালচার ও সংস্কৃতির বহিপ্রকাশ ঘটাতে সবার মতামতের ভিত্তিতে মেলার জন্য একটি স্থায়ী মাঠ খুঁজে বের করবেন বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন। বিজয় মেলার উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ড. জিয়াউদ্দিন বলেন, আমরা শুধু কর্মের মধ্যে থাকবো না। আমাদের যে নিজস্ব কৃষ্টি রয়েছে, কালচার রয়েছে এই সংস্কৃতির বহিপ্রকাশ মেলাতেই হয়ে থাকে। ফলে এমন একটি স্থান আমরা খুঁজে বের করবো সকলের মতামত নিয়ে। কেননা আপনারাই ভালো বলতে পারবেন। আমাদের কাজ হচ্ছে আপনাদের চাওয়া পাওয়াকে রূপায়ন করা।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেখানে বৈষম্যমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়ার আমাদের প্রত্যয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের কৃষ্টি, আমাদের কালচার সবকিছুকে তুলে ধরতে হবে। সেই তুলে ধরার জন্য সত্যিই একটি মেলার মাঠের প্রয়োজন। যেখানে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। সেই মাঠে বইমেলাসহ বিভিন্ন মেলার উদযাপনও যাতে করতে পারি।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম কৃষ্টি-কালচারে ভরপুর একটা জেলা। এখানে প্রতিবছর বাণিজ্য মেলা হয়, বিজয় মেলা হয়। আমাদের সবোর্চ্চ চেষ্টা থাকবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে যাতে একটা খেলার মাঠ ও একটা মেলার মাঠ পারমানেন্ট (স্থায়ী) যাতে করতে পারি।
পূর্বকোণ/মাহমুদ