চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না : শাহজাহান চৌধুরী

বিজ্ঞপ্তি

৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৫:২৪ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে ফাঁসি দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের যে মঞ্চে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল তাকেও একই মঞ্চে নিয়ে ফাঁসি দিতে হবে। ফ্যাসিস্টের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবার বাংলার জমিনে আর রাজনীতি করতে পারবে না।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানা আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খুলশী থানা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলমগীর ভুইঁয়ার সভাপতিত্বে, খুলশী থানার নায়েবে আমির আইয়ুব আলী হায়দার, সেক্রেটারি আমান উল্লাহ আমান ও কর্মপরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগরী জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস এবং মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। সম্মেলনে দারসুল কোরআন পেশ করেন সাতকানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মনিরুল আলম।

কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পাঁচলাইশ থানা আমির মাহবুবুল হাসান রুমি, খুলশী থানার নায়েবে আমির আইয়ুব আলী হায়দার, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ ছাত্র শিবিরের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড এমারতের আমির মো. ওমর ফারুক, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আমির মো. আবু রাশেদ, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজ আলম, রেলওয়ে শ্রমিক নেতা সেলিম পাটোয়ারী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগরী জামায়াতের আমির আলহাজ শাহজাহান আরও বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে এসে জামায়াতে ইসলামীর উপর আঘাত করে শেখ মুজিব। ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ সারাদেশের ৬০০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছিল। শেখ মুজিব মনে করেছিল দাবায়ে রাখতে পারেনি। কোন ইসলামী দলকে কাজ করতে দেয়নি। ১৯৯০ সালে অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসক চাপিয়ে দিয়েছিল এরশাদ সরকার। ক্ষমতা পেতে বা ক্ষমতায় যেতে জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আল্লাহকে রাজি করতে, জান্নাতে যেতে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। উপমহাদেশে একমাত্র সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর উপর সবচেয়ে বেশি আঘাত এসেছে, সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে এই দলের নেতাকর্মীরা। জামায়াতে ইসলামী দমে যাওয়ার দল নয়। এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করে না।

তিনি বলেন, গত দীর্ঘ ১৮ বছর শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি আঘাত করেছে জামায়াতে ইসলামীর উপর। এমন কোনো নির্যাতন নেই শেখ হাসিনা করনি। এমন কোনো ষড়যন্ত্র নেই তার দলের লোকেরা করেনি। এমন কোনো পদক্ষেপ নেই আওয়ামী লীগ জামায়াতের বিরুদ্ধে নেয়নি। শেখ হাসিনা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নয়। আমাদের নিষিদ্ধ করে ৫ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির সংকট মুহূর্তে অর্ন্তবর্তী সরকার ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। এই ঐক্যের ভিত্তি রচনা হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি এসেছে। শান্তভাবে সকল কূটচালকে নস্যাৎ করে দেয়া হবে। পতিত স্বৈরাচারের আত্মগোপনে থাকা খুনীরাই নামে বেনামে চট্টগ্রামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

কর্মী সম্মেলনে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন পারাবার শিল্পী গোষ্ঠী ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট