চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ:

বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ নতুন সিএমপি কমিশনারকে প্রস্তাবনাগুলো দেন

যানজটমুক্ত নিরাপদ চট্টগ্রাম নগরী গড়তে ১১ প্রস্তাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও যানজট নিরসনে সিএমপি কমিশনারের কাছে ১১টি প্রস্তাবনা দিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি। গতকাল সোমবার বিকেলে কমিটির নেতৃবৃন্দ নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের সাথে দেখা করে এসব প্রস্তাবনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির স্থায়ী পরিষদের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কার্যকরী পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুরুল হক, মহাসচিব এইচএম মুজিবুল হক শাকুর, কমিটির নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. ইব্রাহিম, মাহফুজুল হক শাহ, কমডোর (অব.) ইফতেখার হাসান, লায়ন নুরুল আলম ও প্রফেসর বাহাউদ্দিন জুবায়ের।
সংগ্রাম কমিটি সিএমপি কমিশনারের কাছে যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে সেগুলো হল- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন, পুলিশের টহল বৃদ্ধি করে থানাগুলো কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ এবং নগরীতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা করা। ট্রাফিক ব্যবস্থাকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো এবং অটো সিগন্যাল লাইট কার্যকর করা।
দিনের বেলায় ট্রাক, ট্রলিসহ ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং চালকদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করা। প্রয়োজনে চালকদের ওয়ার্ডভিত্তিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া, বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনের সামনে থেকে বহদ্দারহাট, টাইগারপাস থেকে বিপণী বিতান হয়ে কোতোয়ালী মোড়, লালদিঘি মোড় থেকে আন্দরকিল্লা, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, চকবাজার এবং বাদুরতলা থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত রিকশা চলাচল বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেয়া।
নগরীর সড়কে ছোট বড় গণপরিবহন বৃদ্ধি করে নির্দিষ্ট স্থানে যাত্রী উঠানামা নিশ্চিত করা, যত্রতত্র যাত্রী উঠানামা বন্ধ করা। সিএনজি ট্যাক্সি, হুইলার ও লেগুনা জাতীয় গাড়িগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এসব পরিবহনগুলোকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করা। নগরীর মোড়গুলোতে এলোমেলোভাবে গাড়ি রাখার প্রবণতা দূর করা এবং রিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা মুক্ত করা। হকারদের পুনর্বাসন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে ফুটপাত হকারমুক্ত করা, নগরীর ফুটপাত থেকে ছিন্নমূল পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা রাখতে বাধ্য করা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নান্দনিক ফুটপাত উপহার দেয়া, ফুটপাত ও সড়ক বিভাজনে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করা এবং বিলবোর্ডমুক্ত নগরী উপহার দেয়া, যত্রতত্র পোস্টার ব্যানার লাগানো বন্ধ করে নির্ধারিত স্থানে পোস্টার ব্যানার লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট