চট্টগ্রামকে সিলিকন সিটিতে রূপান্তরিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত ৫ম আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের কোন তরুণ-তরুণী যদি উদ্যোক্তা হতে চায়, তাদের যত ধরনের সেবা লাগবে বর্তমান সরকার তার সবটুকু দিতে প্রস্তুত। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে তিনটি উপহার দিয়েছেন, সেগুলো হল ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ তলা শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর সেন্টার ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার। এছাড়াও ইনকিউবেশনের নির্মাণ কাজ চলছে এবং নলেজ পার্ক তৈরির জন্য জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। এ কাজগুলো সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম একটি সিলিকন সিটিতে রূপান্তরিত হবে।’
পলক বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের লক্ষে দেশে যারা আইটি ফ্রিল্যান্সার আছে তাদের যথাযথ ট্রেনিংনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাতে পরিণত করতে হবে। অনেকে গ্রামে, উপজেলায় থেকেও দেশ-বিদেশের অনলাইন মাকের্ট প্লেসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তায় পরিণত করতে পারলে, সেখানে আরও হাজার-হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউভেশন সেন্টার রয়েছে। সেখানে ৫ হাজার স্কয়ার ফিটের জায়গাটাকে আমরা স্টার্টআপের জন্য দিয়ে দেব। চিটাগং চেম্বার অব কর্মাস ও আইট ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করে স্টার্টআপের জন্য নির্বাচন করবে। প্রথম ছয়মাস সেখানে উদ্যোক্তারা ফ্রিতে অফিস খুলতে পারবেন। পরে তাদের কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে আরও ছয় মাস ফ্রিতে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও সেখানে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক বিনিয়োগের সুবিধাও সরকার করে দিবে।’
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সোসাইটি অব চিটাগং আইটি প্রফেসনালের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ ফরিদ, শফোস’র কান্ট্রি ম্যানেজার এসএম মোহসিন, প্রযুক্তি মেলার এডভাইজ শিপন কুমার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ।
১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা তিনদিনের এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় ৪০টির মত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০টি স্টল অংশ নিচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও আয়ারল্যান্ডের মালিকানাধীন আইটি ও সল্যুশন বেজড প্রতিষ্ঠান এবারের আইটি ফেয়ারে অংশ নিচ্ছে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ