চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ কিশোর সিফাতের (১৭) মরদেহ ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
রবিবার (১৮ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকূল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
সিফাত কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার সেফট আলী এলাকার আমান উল্লাহর ছেলে। তিনি বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট অ্যাপ্রোচ সড়কের ঢালাই শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় সিফাত সড়কের নির্মাণশ্রমিক তার বন্ধু মোবারককে নিয়ে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাটে ঘুরতে যান। এ সময় দু’জন সমুদ্রে গোসল করতে নামেন। সিফাত সাঁতরে সাগরে থাকা ফেরিতে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে সমুদ্রে তলিয়ে যান সিফাত। এ ঘটনার পর তাকে উদ্ধারে ফেরিঘাটে থাকা লোকজনের কাছে তিনি সহায়তা চান।
এ সময় উপস্থিত লোকজন সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়া সিফাতকে উদ্ধারে ব্যাপক চেষ্টা করে। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে তারা ব্যর্থ হন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তবে স্রোতের তীব্রতার কারণে তারাও সাগরে নিখোঁজ কিশোরকে খুঁজতে ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবরিদল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা রাতভর নিখোঁজ কিশোরকে উদ্ধারে কার্যক্রম চালালেও তার খোঁজ মিলেনি। তবে সকাল থেকে ফের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে এবং আজ সকাল ১০টায় নিখোঁজ ওই কিশোরের মরদেহ বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফিরোজ জানান, আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও তারা নিখোঁজ ওই কিশোরকে উদ্ধারে রাতভর চেষ্টা চালায়। কিন্তু উত্তাল ঢেউ আর জোয়ারের কারণে তাদের উদ্ধার কার্যক্রমে প্রচুর বেগ পেতে হয়। যার কারনে শনিবার দিবাগত রাত ২ টা থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। তবে রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ওই কিশোরকে উদ্ধারে আবারও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে তারা। নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর সকাল ১০টায় বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতের কিছু দূরে ওই কিশোরের মরদেহ দেখতে পেয়ে তারা উদ্ধার করে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ