খাগড়াছড়িতে বিজু উৎসব শেষে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী নয় দিন পর মুক্তি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, অপহৃতদের আত্মীয়-স্বজন তাদেরকে ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলে-চবির চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভিগের অলড্রিন ত্রিপুরা রিশান চাকমা।
শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়টি স্বীকার করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে গণমাধ্যমেও প্রেস বিবৃতি পাঠানো হয়। বিবৃতিতে অপহৃত চবি পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল সকাল ভোর সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ির সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে পিসিপি সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগ ও একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা এবং প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রোকে জোরপূর্বক তুলে নেয়া হয়। এ ঘটনার শুরু থেকেই অপহরণের জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় নিপন ত্রিপুরা। তবে শুরু থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ইউপিডিএফ।
পূর্বকোণ/পিআর