চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন দগ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলা সোনাইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ শীতলপুর চৌধুরী মার্কেটের একটি ডিপোতে এই ঘটনা ঘটে।
এতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবু তাহেরসহ তিনজন অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আবু তাহেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর চৌধুরী মার্কেট এলাকায় একটি গোডাউনে সিলিন্ডার রেখে বাজারজাত করতেন গোডাউনের মালিক মো. আবু তাহের। মঙ্গলবার বিকালে সেখানে কর্মরত আবু তাহেরের দুই কর্মী সিলিন্ডার রিফুয়েলিং করার সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা আবু তাহের কর্মীদের বাঁচাতে আগুন নেভানোর এন্টি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে সেখানে প্রবেশ করে কর্মীদের বাইরে বের করে দেয়া মাত্রই একটি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে গেলে আবু তাহের গুরুতর দ্বগ্ধ হন। তার গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর দ্বগ্ধ হলে স্থানীয়রা প্রথমে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
আবু তাহেরের ভাতিজা কে.আর গ্রুপের চেয়ারম্যান সেকান্দার হোসাইন টিংকু পূর্বকোণকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানায় দুই জন কর্মী ছিলেন। আগুনে তাদের হাতসহ কয়েক স্থানে সামান্য দ্বগ্ধ হয়। কিন্তু কর্মীদেরকে বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে ঐ গোডাউনে ঢুকে যান আবু তাহের। তিনি প্রবেশ করে আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে বিস্ফোরণ ঘটে গেলে গুরুতর দ্বগ্ধ হন। তাকে চমেকে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। পরামর্শ অনুযায়ী সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বজনরা। এছাড়া আহত দুইজন সামান্য আহত হওয়ায় তারা চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন বলে জেনেছি। তবে তিনি তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ পূর্বকোণকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছান তখন আহত কাউকে পাওয়া যায়নি। গোডাউনে সামান্য আগুন ছিল, অল্পসময়ে তারা নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছালেও আহত কাউকে পাওয়া যায়নি। তারা দেখেছেন সেখানে ১৫০-২০০ খালি সিলিন্ডার আছে। এসব সিলিন্ডার রিফুয়েলিং করে বিক্রি হতো বলে জানা গেছে। রিফুয়েলিং করতে গিয়েই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিকভাবে তারা জানতে পেরেছেন। এ বিস্ফোরণে মালিক আবু তাহেরের অবস্থা আশংকাজনক, তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, সেখানে কীভাবে সিলিন্ডার রিফুয়েলিং করা হচ্ছিল এবং কেন বিস্ফোরণ ঘটেছে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ