কারবালা প্রান্তরে হায়; একি হলো!
ইয়াজিদের তলোয়ারে রক্ত ঝরলো।
নবীর বংশধর শহীদ হলো হায়;
ন্যায় আর সত্যের দীপ নিভে না যায়।
তপ্ত মরুর বুকে ফোরাতেরই ধার,
তৃষ্ণার্ত শিশুরা কাঁদে বারে বার।
এক ফোঁটা পানি মেলেনি, প্রাণ বাঁচাতে,
তবুও তাঁরা অটল ছিলেন ইসলামের পথে।
ইমাম হুসাইন (রাঃ) অকুতোভয় বীর,
জালিমের সামনে ছিলেন স্থির।
বায়াত করেননি, মাথা করেননি নত,
কোরআনের বাণী ছিল, তাঁর ব্রত।
বাহাত্তর জন সাথী লড়ে গেল পাশে,
জীবন দিলেন তাঁরা, অসীম সাহসে।
কেউ ফেরেনি রণে, কেউ হারেনি মান,
পরম সত্যের তরে, দিল তাঁরা জান।
জয়নাব (রাঃ) ছিলেন বীরত্বে মহান,
কারবালার বার্তা তিনি করলেন দান।
ইয়াজিদের দরবারে, কণ্ঠে বজ্রধ্বনি,
শহীদের রক্তে গড়া, বিজয় রণি।
ইতিহাস সাক্ষী, আজও এই ঘটনায়,
অন্যায়ের সাথে, কোনো আপোষ নাই।
সত্যের তরে, প্রাণ বিলিয়ে দেওয়া,
এটাই যে শাহাদাতের, শ্রেষ্ঠ পাওয়া।
এই শিক্ষা-ই দেয় মোরে কারবালার গান,
জালিমের বিরুদ্ধে, করো অভিযান।
মানবতার তরে, জীবনকে সঁপে দাও,
আল্লাহর পথে সদা, তুমি হেঁটে যাও।
আসছে আশুরা বয়ে, স্মৃতির ভেলা,
অশ্রু ঝরুক, হোক ব্যথারই মেলা।
চিরদিন অম্লান রবে, তাঁদেরই স্মৃতি,
কারবালা দেখায় যে, অমর প্রীতি।
শোকের সুরে কাঁদে, আজ মানবতা,
আশুরা আনিছে, ত্যাগের মহিমা গাঁথা।
পাপে যারা ডোবে, পায় দহন-ঘাত,
পুণ্যজীবনে জ্বলে নিত্য শান্তির প্রভাত।
ত্যাগের মহিমা শেখো, হুসাইনের (রাঃ) থেকে,
ধৈর্যের সবক নাও সবাই, তাঁদেরই দেখে।
ইসলামের তরে, যত বাধা আসে,
অটল থেকো তুমি, জয় পাবে শেষে।
পূর্বকোণ/ইবনুর