চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সার্কিট হাউসে টাস্কফোর্সের সভায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

উদ্বাস্তুদের তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা

২৩ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনে যথেষ্ট আন্তরিক। আগের হিসেবে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের ৮১ হাজার ৭৭৭টি উদ্বাস্তু পরিবার রয়েছে। এসব পরিবারের অনেক সদস্য হয়তো মৃত্যুবরণ করেছে। তাদেরকে শীঘ্রই পুনর্বাসনের আওতায় আনার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর সঠিক ও শুদ্ধ তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার গঠিত টাস্কফোর্স। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান ও কারবারীদের সম্পৃক্ত করে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের আলাদা আলাদা তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। যারা মৃত্যুবরণ করেছে বা দেশ ছেড়ে চলে গেছে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে। তৈরিকৃত উদ্বাস্তুদের তালিকা সুপারিশ সহকারে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। গতকাল মঙ্গলবার নগরীর সার্কিট হাউজে আয়োজিত টাস্কফোর্সের ১০ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এখানে পাহাড়ি বা বাঙালি কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
ঋণ মওকুফের বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা সভায় জানান, উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের ঋণ মওকুফ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে ঋণদাতা সোনালি ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক এবং বিআরডিবির ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি অগ্রগতির পর্যায়ে রয়েছে।

টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুস সাত্তার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ২৪পদাতিক ডিভিশনের প্রতিনিধি মেজর মো. সালাউদ্দিন, জেএসএস’র প্রতিনিধি সাথোয়াই প্রু মার্মা ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি অংসুইপ্রু চৌধুরী। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয়ে টাস্কফোর্স সভার সিদ্ধান্তসহ বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোকপাত করেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমদ অনিক।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট