চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ইউসিবিতে কর্মক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্তের উপর সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ

২২ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:৫১ পূর্বাহ্ণ

কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে জরুরিভিত্তিতে কি করা উচিত তা নিয়ে ইউসিবিএল কামালবাজার শাখায় সম্প্রতি এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। জরুরি মুহূর্তে জীবন রক্ষায় কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসসিটেশন- সিপিআর (জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা কৌশল) একটি আধুনিক ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা। এ সেবার মাধ্যমে সাময়িকভাবে হৃৎপিন্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় কৃত্রিমভাবে চালিয়ে মস্তিস্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন কামালবাজার শাখার ব্যবস্থাপক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী এবং প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন, চট্টগ্রাম ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল এর মেডিসিন ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান । ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক ধরনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হয় আর প্রায় প্রতিটি ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করি। কর্মশালার মূলবক্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একজন ব্যাক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ১ম ১ মিনিটের মধ্যে যদি তাকে সিপিআর দেওয়া হয় তাহলে তার বাঁচার সম্ভাবনা থাকে ৯০%, যদি ১ম ৫ মিনিটের মধ্যে দেওয়া হয় তাহলে তার বাঁচার সম্ভাবনা ৫০%, ০৭ মিনিটের মধ্যে দিলে বাঁচার সম্ভাবনা ৩০%, যদি ১ম ১২ মিনিটের মধ্যে দেওয়া হল তাহলে তার বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ২%। এই পরিসংখ্যান থেকে আমরা বুঝতে পারি হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে যদি ১ম ১২ মিনিটের মধ্যে সিপিআর দেওয়া হয় তাহলে তার জীবন রক্ষা করার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এই ১২ মিনিটের মধ্যে আপনার পাশে একজন ডাক্তার বা একজন প্রশিক্ষক না পাওয়া স্বাভাবিক । তাই আমাদের পাশে যারা আছেন, যাদেরকে নিয়ে আমরা দিনের বেশীরভাগ সময় কাটাই তাদেরকে প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে হবে। সুতরাং কর্মক্ষেত্রে হৃদরোগের বিভিন্ন বিষয় এবং সিপিআর সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা থাকতে হবে। সমাপনী বক্তব্যে শাখার অপারেশন ম্যানেজার কে.এ.এ.এম. ইয়াসির হেলালী বলেন, সিপিআর এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই সচেতনতামূলক কর্মশালা যেন দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। একই সাথে এই সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনের জন্য তিনি শাখা ব্যবস্থাপক ও প্রশিক্ষককে ধন্যবাদ জানান।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট