চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফটিকছড়ির দাঁতমারায় ভূলতথ্য দিয়ে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ

বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ, নিয়োগ বাণিজ্যে নয়তো?

নাজিরহাট সংবাদদাতা

২১ অক্টোবর, ২০১৯ | ৬:৪০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির দাঁতমারায় পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে ভুল তথ্য দিয়ে আইরিন আকতার নামের এক প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে ফাহামিদা জাহান নামের ওই পদের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রার্থী নানান তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তথ্যানুসন্ধানে ওই মহিলার (নিয়োগপ্রাপ্ত) ভোটার তালিকা ও জাতীয় সনদ যাচাই করে দেখা যায় নিয়োগে চাওয়া উল্লেখিত এলাকার সাথে তার এলাকার মধ্যে গরমিল রয়েছে। জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় হতে ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অন্যান্য এলাকার সাথে দাঁতমারা ইউনিয়নের ১/ঘ কয়লা, জিলতলী, ওদাইয়ার পাথর, উত্তর বান্দরমারা, দক্ষিণ বান্দরমারা ও কড়ই বাগান এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের নিকট হতে পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে আবেদনপত্র আহবান করা হয়েছে। উক্ত পদের জন্য একাধিক প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে তিন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।

মৌখিক পরীক্ষায় কেচিয়া গ্রামের আইরিন আক্তার নিয়োগ পান। তার ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার যাচাই করে দেখা যায় সে কেচিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আবেদনের জন্য চাওয়া উল্লেখিত গ্রামের না হয়ে তিনি কিভাবে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় সঠিক ভাবে পার হলেন তা-ই অন্য প্রার্থীদের জিজ্ঞাসা।

বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোটা অংকের টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ওই মহিলাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি কিনা ভুল তথ্য দিয়ে চাকরি পেয়েছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত আইরিন আকতার নিজে স্বীকার করে বলেন, তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়োগে চাওয়া এলাকার না। তার পিতার কর্মস্থলসূত্রে পরিচয়পত্র কেচিয়া গ্রামের নামে হয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন।

অভিযোগকারী ফাহমিদা জাহান বলেন- সম্পূর্ণ ভুয়া তথ্য দিয়ে ওই মহিলা চাকরি পেয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন। তিনি ওই মহিলার নিয়োগ বাতিলের দাবিও জানান।

চট্টগ্রাম পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডা. উ খ্যে উইন ববি বলেন, এই নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তা প্রেরণ করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগেও ভুয়া তথ্য দেওয়ায় দোষীদের বিচার করা হয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/মুন্না-রাশেদ

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট