চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

‘খর¯œায়ু’র মোড়ক উন্মোচনে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল

বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কল্পনার মিশ্রণে একটি অসাধারণ বই

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:২০ পূর্বাহ্ণ

বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন করা। একজন লেখকের লেখায় ফুটে উঠে তাঁর জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা। পাঠকরা সেই লেখা পাঠ করে লেখকের জীবনের অর্জিত অভিজ্ঞতার ভুল থেকে শিক্ষা লাভ করে। আর নিজেদের জীবনে সেই ভুলের সমাধান করতে পারে অতি সহজে। আর এখানেই একজন লেখকের সার্থকতা। তেমনি অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. এমদাদুল ইসলাম তাঁর লেখা এই বইটিতে নিজের দীর্ঘ জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনকালে সমসাময়িক বিষয় ও যুদ্ধের বিভীষিকাময় নানা অভিজ্ঞতা ফুটিয়ে তুলেছেন এ বইয়ে। মেজর মো. এমদাদুল ইসলাম রচিত ‘খর¯œায়ু’র মোড়ক উন্মোচনে অতিথিরা এ কথা বলেন।

খড়িমাটির আয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. এমদাদুল ইসলামের লেখা ‘খর¯œায়ু’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন গতকাল বিকেল পাঁচটায় প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আনুষ্ঠিত হয়। সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। মূখ্য আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সুভাষ দে, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ চৌধুরী এবং কবি ও নাট্যজন অভীক ওসমান।

অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, কর্মজীবনে তিনি একজন দক্ষ ও জ্ঞানী সেনা অফিসার ছিলেন। তাঁর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা এতো বেশি যে তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয় একজন ভালো বিশ্লেষকও। তিনি কর্মজীবনে দীর্ঘদিন মিয়ানমারে ছিলেন। আমাদের দেশে বর্তমানে চলমান রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আবার তিনি নিজ জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কল্পনার মিশ্রণে একটি অসাধারণ বই লিখেছেন। যা আজ আমাদের সামনে। একজন মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা নতুন একটি গুণের সাথেও আমারা পরিচিত হলাম। অনুষ্ঠানে অতিথিরা আরো বলেন, এ বইয়ে ফুটে উঠেছে ১ম, ২য় ও ৩য় বিশ্বযুদ্ধের বিভীষিকাময় চিত্র। একটি যুদ্ধ কখনোই সমাধানের পথ নয়। কারণ একটি যুদ্ধের কারণে কত শত নিরীহ মানুষ মারা যায় তার কোনো হিসাব নেই। তেমনি যুদ্ধের মাঠ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের কাহিনী নিয়ে লিখেছেন তিনি। তার এ বইয়ে এক ক্যাপটেন রোবাট যুদ্ধের মাঠে প্রতিপক্ষ দলের অজানা এক সৈনিকের জন্য তার মনে কষ্ট অনুভব করে। তাই তিনি রাতের আঁধারে সেই মৃত ব্যক্তিদের দেখতে যান। সেখানে তিনি একজন সৈনিকের লাশ খুঁজে পান।

আর সেই লাশটি আলো জ¦ালিয়ে দেখেন আর অমনি তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কারণ তিনি দেখেন সেই সৈনিক তারই আপন পুত্র। এমন আরেকটি কষ্টে ভরা গল্প ‘চার্জের সাইকেল’ যে তাঁর বাবার কাছে সাইকেলের আবদার করে। তখন গরীব বাবার খেতে ভালো ফসলও হয়েছে। তাই বাবাও খুশি হয়ে ছেলের আবদার মেঠাতে কিনে দেয় সাইকেল। কিন্তু সেই অবুঝ ছেলেও প্রতিহিংসার যুদ্ধে দুইজন সেনা সদস্যের হাতে আটক হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। আর অসহায় বাবা সেই ছেলের খোঁজে ছুটে যায় ক্যাম্পে। কিন্তু একদিন ছেলে ফিরে আসলেও বাবা আর কোনো দিন ফেরেনি। এমন অনেক গল্প নিয়ে লিখেছেন তিনি। অনুষ্ঠান শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয়। এছাড়া আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান বইটির একাংশের একটি গল্প পাঠ করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট