চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

সর্বশেষ:

রমজানে তিন স্তরের ট্রাফিক ব্যবস্থা, থাকবে বাড়তি পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ

রমজানে নগরীর আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। দ্রব্যমূল্যের দাম, যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও মার্কেটকেন্দ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন নগর পুলিশ কমিশনার।

 

তিন স্তরের ট্রাফিক ব্যবস্থা: রমজানে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে তিন স্তরের ট্রাফিক ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে নগর ট্রাফিক বিভাগ।

 

নগর ট্রাফিকের উত্তর জোনের উপকমিশনার (ডিসি) জয়নুল আবেদীন জানান, এবারের রমজানে যানজট সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১০ রমজান পর্যন্ত অন্যান্য সময়ের মতো স্বাভাবিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।

 

তিনি বলেন, ১০ রমজান থেকে ২০ রমজান পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি ট্রাফিকের সাথে পুলিশ লাইন্স থেকে বাড়তি পুলিশ সদস্য যোগ দেবেন। তারা মার্কেটকেন্দ্রিক যানজট নিরসনে কাজ করবেন। আমরা চেষ্টা করবো অফিসফেরত মানুষ যেন সঠিক সময়ে গন্তব্যে গিয়ে ইফতার করতে পারেন। দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ২০ রমজান থেকে ৩০ রমজান পর্যন্ত বাস টার্মিনালগুলোতে ট্রাফিক ব্যবস্থা বাড়ানো হবে; যেন ঘরমুখো মানুষের কোনরকম হয়রানি না হয়।

 

ডিসি জয়নুল বলেন, কালুরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত (১০ নম্বর রুট) সড়কটি নগরীর লাইফলাইন। এ সড়কের বাওয়া স্কুলের সামনে ফ্লাইওভারের র‌্যাম্প নির্মাণ এবং শুলকবহর এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ চলছে। এ দুই স্থানে এখন থেকেই যানজট লেগে আছে। রমজানে এ স্থানগুলোতে যানজট আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাফিক বিভাগের চেষ্টা থাকবে ওই স্থানগুলোতে যানজট সহনীয় রাখতে।

 

খোলা থাকবে কন্ট্রোল রুম: রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সাথে দুই দফায় বৈঠক করেন নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ।

 

গত বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশ কমিশনার বলেন, পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জরুরি সেবা দেয়ার জন্য সিএমপি কমিশনার অফিসে একটি স্পেশাল কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে। যা প্রথম রোজা থেকে শুরু হবে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ছাড়া কন্ট্রোল রুমে সিএমপি স্পেশাল হটলাইন ০১৩২০-০৫৭৯৯৮, ০১৩২০-০৫৪৩৮৪ সার্বক্ষণিক চালু থাকবে।

 

পুলিশ কমিশনার বলেন, হোন্ডা মোবাইল পার্টি সক্রিয় থাকবে। ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা পয়সা নেয়ার সময় কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন সেক্ষেত্রে মানি স্কট দেয়া হবে। এছাড়া বেপজা, গার্মেন্টস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে যথাসময়ে তাদের কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধ করার অনুরোধ করেন সিএমপি কমিশনার।

 

তিনি আরও বলেন, যানজট, ছিনতাই, অবৈধ মজুতদারি ও চাঁদাবাজি রোধকল্পে ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা তৈরি করা হবে। নগরীর সবকটি মার্কেটে বাড়তি পুলিশ পাহারা থাকবে। নারী ছিনতাইকারী প্রতিরোধে নারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি মার্কেটে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান সিএমপি কমিশনার।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট