চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরের একদিকে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে’র পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান নেন শিক্ষক সমিতি। অন্যদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রযাত্রায় ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চবি প্রশাসন।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী অভিযোগ করে বলেন, দুঃখজনক হলেও শিক্ষকরা যেখানে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালন করতেন, সেখানে প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবে যেটা করেছে সেটা দুঃখজনক। এটা আমাদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র। উপাচার্য আমাদের আলোচনার কথা বলেন। কিন্তু কার্যত তিনি যে ধরনের উদ্যোগগুলো নিচ্ছেন তা আসলে সাংঘর্ষিক। আমরা কখনও প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাই না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে আমরা আমাদের দাবিতে অটল আছি। আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জানতে চাইলে চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনে অনেক ষড়যন্ত্র অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে ৭ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এই উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনকে নিয়ে ঘরোয়া পরিবেশে এই প্রোগ্রাম করছি। এখানে আন্দোলন বন্ধ বা ভণ্ডল করার কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, দুই বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির আপত্তির মুখেই ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগ ও ১৮ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগ বোর্ড ডাকা হয়। ১৭ ডিসেম্বর আইন বিভাগের নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ে অবস্থান করে কোন সুরাহা না হলে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে টানা কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শীতকালীন ছুটি ও নির্বাচনের কারণে ২২ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত ছিল।
পূর্বকোণ/রায়হান/জেইউ/পারভেজ