চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) শিক্ষক সমিতি ২০২২-২৩ মেয়াদ এর দায়িত্ব হস্তান্তর ও বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষা-গবেষণা খাতে গৌরবময় অবদানের জন্য ২৫ জন শিক্ষককে রিসার্চ কোলাবোরেশন এওয়ার্ড দেওয়া হয়। এই রিসার্চ কোলাবোরেশন এওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত হন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ জালাল মিশুক।
তার গবেষণা প্রকল্পের নাম হলো, ‘মাল্টি হ্যাজার্ড কনটিনজেন্সি প্ল্যান ফর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।’ তিনি ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত এই গবেষণা প্রকল্পের কাজ করেন।
চুয়েট শিক্ষক শাহ জালাল মিশুক তার গবেষণা কাজ সম্পর্কে জানান- এই গবেষণা প্রকল্পে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৫টি দুর্যোগ নিয়ে কাজ করেছি। জলাবদ্ধতা, পাহাড়-ধস, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, ঝুঁকির মাত্রা নিরুপণ করেছি। পাশাপাশি দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগ কালীন ও পরবর্তী সময়ে সিটি কর্পোরেশন এর করণীয় কি কি হতে পারে সেসব বিষয়গুলোও বিশদভাবে তুলে ধরি।’ অর্থাৎ, তার এই গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরীর ৫টির দুর্যোগ এর জন্য সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, ক্ষতির মাত্রা ও সিটি করপোরেশন এর করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমাতে আপদকালীন পরিকল্পনা ‘মাল্টি হ্যাজার্ড কন্টিজেন্সি প্ল্যান’ এর চূড়ান্ত রিপোর্ট তিনি ২০২৩ সালের ৭ জুন প্রদান করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে। পরিকল্পনাটি প্রণয়নে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ জালাল মিশুক। গবেষণা প্রকল্প ও পরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগিতা করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, উন্নয়ন সংস্থা ইপসা ও সেভ দ্য চিলড্রেন।
উল্লেখ্য, মো. শাহ জালাল মিশুক একজন শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক। তিনি শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি, তার গবেষণা কাজ গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন নাগরিক সমস্যার সমাধান করে থাকেন। পাশাপাশি তার লেখা ১৩০টির বেশি গবেষণাধর্মী কলাম ইতিমধ্যেই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মো. শাহ জালাল মিশুক বলেন, চুয়েট শিক্ষক সমিতি আমাকে রিসার্চ কোলাবোরেশান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় আমি বেশ আনন্দিত ও গর্বিত। এভাবে গবেষণা প্রকল্পের কাজে উৎসাহিত করায় চুয়েট শিক্ষক সমিতিকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
এছাড়াও মো. শাহ জালাল মিশুক ২০২১ সালে বাংলাদেশের নগর পরিকল্পনাবিদদের সর্বোচ্চ পদক ‘বি আই পি সম্মাননা পদক ২০২১’ এর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
পূর্বকোণ/এএইচ