চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

সর্বশেষ:

৫০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি চায় আওয়ামী লীগ

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

২ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার উপস্থিতি চায় আওয়ামী লীগ। বিএনপিবিহীন ভোটের গ্রহণযোগ্যতা দেখাতে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নানা কৌশল নিয়েছে সরকারি দল। এজন্য আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাড় দিয়েছে আ. লীগ।

 

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশের উপরে ভোটার রয়েছে। দলীয় ভোটারের বাইরে নীরব ভোটারদেরও ভোটকেন্দ্রে আনার নির্দেশনা রয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ৫০-৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা করে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি।’

 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ১২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আছেন ১৪ আসনে। দুটি আসনে শরিক দল জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও জোট প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগ দলীয় শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন অন্তত ১৫ জন। ভোটে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের।

 

ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ-জাপা এবং স্বতন্ত্র প্র্রার্থীদের ঘিরে প্রচার-প্রচারণা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ১৬ আসনের মধ্যে ১২টিতে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে ভোটের লড়াই জমে উঠেছে। ৫টি আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে ভোটের মাঠ সহিংসতায় রূপ নেয়। সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এসব আসনে।

 

নগর, উত্তর ও দক্ষিণের তিন দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা হয় পূর্বকোণের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে প্রচার-প্রচারণা ভালোভাবে জমে উঠেছে। তবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব রয়েছে প্রার্থীদের।

 

চট্টগ্রাম মহানগর ও নগর সংলগ্ন ছয়টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী) আসনে প্রার্থী আছেন সাত জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নির্ভার রয়েছেন। তারপরও একলা মাঠ মাতিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৩৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমরা নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছি। আশা করছি, ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবেন।’

 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ছাড়াও ৪০ শতাংশ অন্য দল বা নীরব ভোটার রয়েছে। এসব ভোটার টানার জন্য কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নির্দেশনা রয়েছে।

 

বিএনপিবিহীন নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক করতে নানা কৌশল নিয়েছে সরকারি দল। আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নেওয়া ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন’ নামে কর্মসূচি শুরু করেছে। ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের উন্নয়ন প্রচার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বার্তা ভোটারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

 

মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ বলেন, ‘এবারের নির্বাচন ওপেন করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। উৎসবমুখর নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রমুখী করার জন্য কাজ করছে আওয়ামী লীগ।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট