চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে ‘ডগ স্কোয়াড’। ৯টি প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে আগামীকাল রবিবার ডগ স্কোয়াড চালু হবে। একইদিন ডগ স্কোয়াড পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে তৈরি কে-নাইন ইউনিটের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশও হবে।
সিএমপি সূত্রে জানায়, নেদারল্যান্ডস থেকে আনা প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কে-নাইন ইউনিটে যুক্ত ছিল। সেখান থেকে গত ২০ ডিসেম্বর ৯টি কুকুর সিএমপিতে পাঠানো হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের তত্ত্বাবধানে কুকুরগুলোকে রাখা হয়েছে নগরীর মনছুরাবাদে নগর পুলিশ লাইনে নতুন নির্মিত একটি দোতলা ভবনে।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, দুই ক্যাটাগারিতে প্রশিক্ষিত ৯টি কুকুর। এর মধ্যে চারটি বিস্ফোরক ও পাঁচটি মাদক শনাক্তে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। সম্প্রতি এই ৯টি কুকুর আমরা বুঝে নিয়েছি। মনছুরাবাদে কুকুরগুলোর জন্য একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে কুকুরগুলো রাখা হয়েছে। সেগুলোর চাহিদামতো পরিচর্যায় রয়েছে আমাদের প্রশিক্ষিত টিম।
জানা যায়, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, পাঁচ তারকা হোটেল, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তা ও মাদকের বিস্তার প্রতিরোধের বিবেচনায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ডগ স্কোয়াড চেয়ে সিএমপির পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর প্রাথমিকভাবে ১০টি প্রশিক্ষিত কুকুর সিএমপিতে যুক্ত করার অনুমোদন দেয়। ডিএমপির কে-নাইন ইউনিটে যুক্ত থাকা অবস্থায় একটি কুকুরের মৃত্যু হয়।
ডগ স্কোয়াড পরিচালনার জন্য সিএমপি কে-নাইন ইউনিট গঠন করে এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একজন সহকারী কমিশনারকে। প্রতিটি কুকুরের জন্য দু’জন করে আরও ১৮ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য এ ইউনিটে যুক্ত আছেন।
পূর্বকোণ/জেইউ