চট্টগ্রাম রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

নতুন বছরে চট্টগ্রামে ফ্লাইট শুরু করছে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স

ইমাম হোসাইন রাজু

৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৭:২২ অপরাহ্ণ

নতুন বছরে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সৌদিআরবের জেদ্দায় ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা সৌদিয়া এয়ারলাইন্স। আগামী মার্চ মাস থেকে চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে বিলাসবহুল এই বিমান সংস্থার ফ্লাইট চালু হলে চট্টগ্রামের যাত্রীদের সৌদিযাত্রায় সুবিধা হবে। এতদিন এই রুটে শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট সপ্তাহে তিন দিন চলাচল করতো। আর একটি চলাচল করতো চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে।

 

সৌদি এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, প্রথমদিকে সপ্তাহে তিনদিন ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো হবে।এই রুটটিতে বোয়িং-৭৭৭ এবং ৭৪৭ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

 

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফ্লাইট চলাচলের সময়ও পূর্বের চেয়ে বেড়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে। আগামী মার্চে সৌদিয়া এয়ারলাইন্স চালু হওয়ার কথা রয়েছে। বিমান সংস্থাটির প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই চট্টগ্রামে এসে ফ্লাইট পরিচালনার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চে ফ্লাইট শুরু হবে। সৌদিয়া এয়ারলাইন্স চালুর ফলে এ অঞ্চলের যাত্রীরা খুব সহজেই সরাসরি চট্টগ্রাম থেকে সৌদি যেতে পারবেন।’

 

বিমান সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদিআরবে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আন্তর্জাতিক আরও কয়েকটি বিমান সংস্থা সৌদিআরব যাত্রী নিয়ে গেলেও মাঝপথে অন্য গন্তব্যে বিরতি দিয়ে থাকে এয়ারলাইন্সগুলো। যে কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে সৌদিআরব যেতে বেশি সময় প্রয়োজন হয়। এতে করে যাত্রীদের ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে।

 

হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রাম জোনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে সবসময় অনেক ওমরা ও হজযাত্রী সৌদিআরব যান। সরাসরি একমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। তবে যাত্রীর তুলনায় ফ্লাইট সংখ্যা অনেকটাই কম। কানেকটিং ফ্লাইটে যাত্রীরা গেলেও অনেক সময় প্রয়োজন হয়। তবে লাক্সারি বিমান সৌদিয়া এয়ারলাইন্স এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করলে যাত্রীরা অনেক সুফল পাবেন। পাশাপাশি সময় সাশ্রয় ও নিরবচ্ছিন্নভাবে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।’

 

চট্টগ্রাম এভিয়েশন ক্লাবের সভাপতি আসিফ চৌধুরী বলেন, ‘ওমরাহ ছাড়াও সবসময় চট্টগ্রাম থেকে প্রচুর মানুষের যাতায়াত সৌদিআরবে। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্লাইট না থাকার কারণে অনেককে অগত্যা ঢাকা থেকে যাতায়াত করতে হত। চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে যারা যাতায়াত করে থাকেন, তাদের অন্য রুট হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। এতে করে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হন যাত্রীরা। সৌদিয়া এয়ারলাইন্স চালু হয়ে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সৌদি আরব যেতে পারবেন ওমরা হজসহ সকল যাত্রী। পাশাপাশি নতুন এয়ারলাইন্স চালুর ফলে প্রতিযোগিতাও বাড়বে। যাত্রীদের সুফলও মিলবে।

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট