বিএনপির রোডমার্চ ঘিরে নিজেদের কোন কর্মসূচি না থাকলে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ। এ জন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অপরদিকে, রোডমার্চ সফল করতে বিএনপি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সমাবেশে মানুষের সর্বোচ্চ উপস্থিতি বাড়াতে থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়েছে দলটি।
কুমিল্লা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শুরু হবে বিএনপির রোডমার্চ। সেখানে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির প্রথম সমাবেশ। কুমিল্লায় সমাবেশ শেষে রোডমার্চ আসবে ফেনীতে। ফেনীর মহিপালে বিএনপি সমাবেশ করবে। সেখান থেকে রোডমার্চ আসবে মিরসরাই সদরে। সেখানে বেলা ১২টায় সমাবেশ করে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হবে রোডমার্চ। এরপর এটি নগরীর সিটি গেট, কর্নেলহাট, এ কে খান মোড়, জাকির হোসেন রোড হয়ে জিইসি মোড় এবং সেখান থেকে ওয়াসা মোড়, আলমাস সিনেমার সামনে দিয়ে কাজীর দেউড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হবে এই রোডমার্চ। বিকেল ৩টায় কাজীর দেউড়ির নেভি মিউজিয়াম সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে সমাবেশে মিলিত হবেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন রোডমার্চের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একই রোডমার্চে নেতৃত্বে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিএনপির রোডমার্চ সফলকল্পে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। রোডমার্চের সমাবেশ থেকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। রোডমার্চ বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুমতি দেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এ রোডমার্চে আওয়ামী লীগ কোন বাধা দিলে প্রকারান্তরে এটি সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অসহযোগিতা করার সামিল হবে।’
এদিকে, বিএনপির রোডমার্চ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচি রয়েছে কিনা এমনি এক প্রশ্নের জবাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দিন দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিএনপির রোডমার্চকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচি নেই। তবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কারণ অতীতে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে দেখা গেছে বিএনপি আন্দোলনের নামে নাশকতা ও সন্ত্রাস করেছে। তাই এবার যদি রোডমার্চ ঘিরে দলটি কোন অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তাহলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করবে।’
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘বিএনপির রোডমার্চকে ঘিরে আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচি নেই। কেন্দ্র থেকেও কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তারপরও বিএনপি যাতে রোডমার্চ থেকে কোন ধরনের নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে না পারে তার জন্য সতর্ক থাকবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।’
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘রোডমার্চে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন। আমাদের রোডমার্চ কর্মসূচি হবে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। আশা করছি প্রশাসন আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে।’
পূর্বকোণ/পিআর