বৈশ্বিক অর্থনীতির মন্দাবস্থা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দেশে ডলারের সংকটের কারণে কমে গেছে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক পণ্য আমদানি। ফলে আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে জাহাজ আসা কমে গেছে। এতে প্রায়ই চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি খালি থাকছে। আর জেটি খালি থাকায় অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়ছে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত শ্রমিকেরা। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থে (জিসিবি) উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে কনটেইনার জাহাজ বার্থিং।
এমনকি অন্য দুটি টার্মিনাল সিসিটি ও এনসিটির তুলনায় অবহেলিত হচ্ছে জিসিবি। এমন সংকটের মধ্যে অন্যান্য জেটির তুলনায় জিসিবিতে জাহাজ বার্থিং কমিয়ে দেওয়ায় কর্মহীন হয়ে অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে শ্রমিকদের মধ্যে। অপারগ হয়ে গতকাল মঙ্গলবার জিসিবিতে কর্মরত শ্রমিকেরা শঙ্কার কথা জানিয়ে বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে। শ্রমিকদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- বর্তমানে জিসিবি কনটেইনার বার্থে দীর্ঘদিন যাবত সিসিটি ও এনসিটির তুলনায় কম জাহাজ বার্থিং দেওয়ার কারণে জিসিবি’র কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীগণ কর্মহীন হয়ে অর্থের অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে, যা অমানবিক। অথচ জিসিবি’র জেটি খালি থাকলেও সিসিটি ও এনসিটি বার্থে অহরহ জাহাজ বার্থিং দেওয়া হচ্ছে।
এতে জিসিবি এলাকায় কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এছাড়াও দেখা যায়, সিসিটি এনসিটিতে বড় জাহাজ বার্থিং দিয়ে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কাজ শেষে করে নতুন জাহাজ বার্থিং দিতে ওই আংশিক পণ্যবাহী জাহাজ জিসিবিতে পাঠানো হচ্ছে। অর্থাৎ একটি জাহাজের কাজ সম্পূর্ণ শেষ না করে নতুন জাহাজ বার্থিং পেতে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
যা জিসিবিকে অবহেলা করার সামিল। অথচ সিসিটি ও এনসিটির মতো জিসিবিও সমান হারে কাজ করে বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়িয়ে দিচ্ছে। চিঠিতে বন্দর চেয়ারম্যানকে সব জেটিতে সমবণ্টনের মাধ্যমে জাহাজ বার্থিয়ের অনুরোধ জানায় শ্রমিকগণ।
পূর্বকোণ/এসি