বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে যান চলাচলের জন্য শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর টানেলে চূড়ান্ত ট্রায়াল রান করবো। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এসব কথা বলেন।
টানেল নিয়ে সারাদেশের মানুষ গর্ববোধ করছে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, সরকারের একটি সিগনেচার প্রজেক্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। টানেল হচ্ছে গর্ব করার মত আমাদের বড় একটি সাফল্য। এটি নিয়ে সারাদেশের মানুষ গর্ববোধ করছে।
এই টানেল বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রকৌশলীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের অসাধারণ এক কর্ম নৈপূণ্য বা কর্ম দক্ষতার মাধ্যমে আমাদের টানেল উপহার দিতে পেরেছেন। আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী টানেল উদ্বোধন করবেন এবং জনসভায় তিনি বক্তব্যও দিবেন। বঙ্গবন্ধু টানেল শুরুমাত্র আনোয়ারা ও পতেঙ্গাকে সংযুক্ত করবে তা না। টানেলের মাধ্যমে ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্ট বাস্তবায়িত হয়েছে।
এশিয়ান হাইওয়ের সাথে টানেল যুক্ত হবে জানিয়ে মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, টানেলকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকার অবকাটামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। আনন্দের সাথে ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের মানুষ টানেল নিয়ে গর্ববোধ করছে। ৩ দশমিক ৩১ কিলোমিটারের টানেল পার হতে সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট।
সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, টানেলের নিরাপত্তার সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে টানেলের নিরাপত্তার সার্থে প্রয়োজনে আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত নিব। নদীর তলদেশ থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার নিচে দিয়ে মানুষ টানেলের মাধ্যমে মানুষ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাবে। টানেলের মাধ্যমে কক্সবাজারের সাথে যোগাযোগও সহজ হবে।
এ সময় বেজার চেয়ারম্যান ইউসুফ হারুন, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান, টানেলের প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/আরডি